bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

গতিপথে যাত্রা হলো শুরু

বর্তমান সময়ে অন্তর্জালে সাহিত্যের ম্যাগাজিন বা ম্যাগাজিনের সাহিত্য বা ওয়েবজিন বা ব্লগসাহিত্য একটি নতুন স্পেস তৈরি করেছে। এটা যেমন আঙ্গিকে তেমনি এর বিষয় বৈচিত্র্যেও। ছাপাখানা যুগ পেরিয়ে অবশ্যই এক নতুন যুগের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরাও নতুন এই যুগের পথিক হিসেবে গতিপথ নামে ব্লগ-সাহিত্যের একটি পথ রচনার দায়িত্ব নিয়েছি।

আমরা জানি, একটি নতুন সাহিত্য ম্যাগাজিন হাতে ধরে দাঁড় করানোর হ্যাপা কতখানি; তবু চেষ্টা তো করতেই হয়। এ’করে উপার্জন যেমন হয় না, তেমনি বৈষয়িকভাবে চিন্তা করলে এটাকে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর কাজও বলা যেতে পারে। তবুও আমরা করি। কেন করি? প্রকাশের যন্ত্রণা থেকে নয় কি? মাতৃগর্ভে ভ্রুণের সঞ্চার হওয়ামাত্র যেমন তা ভূমিষ্ট হওয়ার অপেক্ষা করে- তেমনি মগজে চিন্তাসূত্র তৈরি হলেই কেবল লেখকের হাত বেয়ে তা গল্পে, কবিতায়, গদ্যে, ছন্দে কত না ভাবে-বৈভবে প্রকাশ পেতে শুরু করে। সাহিত্যপত্র বা লিটলম্যাগ বা ছোটকাগজ বিভিন্ন প্রচষ্টোর মাধ্যমে সেইসব নতুন লেখকের প্রকাশ-যন্ত্রণার দায়-দায়িত্ব নেয়। অন্যভাবে বলা যায়, নতুন লেখকরা হাতের মকশো করতে সকলে মিলেই তা করতে চেষ্টা করে। এভাবে কেউ কেউ সময়ে টিকে যায়, কেউ যায় হারিয়ে। আমরাও তেমনি- পার্থক্য শুধু এই যে, ছাপানো কাগজের বদলে ব্লগস্পটকে বেছে নিয়েছি।

সাহিত্যের জগতে এই মুহুর্ত পর্যন্ত বিস্তর কাজ হয়েছে বা হচ্ছে। সময়ের মত সাহিত্য ও থেমে নেই। পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানাভাবে সাহিত্য হচ্ছে। বাংলায় যেমন আমরাও সাহিত্য করি এবং মনের আনন্দেই তা করি। তবুও এর গুণ-মান বিচার, শিল্প ও নন্দনের প্রয়োগ, বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি, রূপ-রীতি ও সাহিত্যবিচার প্রভৃতি বিষয় নিয়ে সাহিত্য সমালোচকগণ সদা উচ্চকন্ঠ থাকেন। এতে অনেক লেখক, কবি খারিজ হয়ে যান যেমন, তেমন কেউ কেউ আবার যথাযোগ্য স্থানও পেয়ে থাকেন। এসব নিয়ে ঘোর ক্যাচাল- তর্ক- বিতর্কও চলতে থাকে- এর যেন শেষ হয় না। আমরা এটাকে একটা প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখি। এই প্রক্রিয়া আসলে সামগ্রিকভাবে কোনও অঞ্চলের সাহিত্যকে আরও শক্ত ভিত এনে দেয়। সময়ের ফিল্টার নিংড়ে নতুন ধারার সাহিত্য তৈরি হয়।

পূর্বের সাহিত্য ধারাকে টেনে নিতে নিতে নতুন একটি ধারার সাহিত্য তৈরি হওয়ার যে অজানা পথ সামনে তা ই ‘গতিপথ’  এর গন্তব্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ