bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

গুজব আর ষড়যন্ত্র সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে━জয়দীপ দে




যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন ম্যাসেঞ্জার। ম্যাসেঞ্জারে হাই, হ্যালো চলতে থাকে! কবি, কথাসাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী—কেউ বাদ পড়েন না। হাই, হ্যালো ছাড়িয়ে চ্যাটিং গড়াচ্ছে বিভিন্ন চিন্তামূলক আলাপে। সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে এমনই চিন্তামূলক চ্যাটিং আয়োজন--'হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার' (Half an hour chatting about culture) প্রকাশ করছেন। বলে রাখা ভালো, আমাদের বিগতকালের লেখক-বুদ্ধিজীবীগণের সংস্কৃতি বিষয়ক বহুবিধ ও বহুমাত্রিক চিন্তা তাঁদের রচিত গ্রন্থগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। তাঁদের সময়ের চিন্তার সাথে বর্তমান সময়ের লেখক-বুদ্ধিজীবীর চিন্তার তূলনামূলক এই পাঠ এক অতি বড় সুযোগ। আমরা মেহেদী উল্লাহ’র এমন উদ্যোগকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করি। তাই এটির সংকলন ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। গতিপথ বাংলা ওয়েবজিনের আলাপ-সিরিজে প্রতি রবিবার মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার এর একটি করে পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে।

আলাপ সিরিজ : মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার পর্ব-৯

মেহেদী উল্লাহ’র টাইমলাইন: শুক্রবার, ২২ মে ২০২০; রাত ০৯ টা ২৩ মিনিট

আজ থাকছেন কথাসাহিত্যিক জয়দীপ দে । সংস্কৃতি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে—

মেহেদী উল্লাহ : 'শিক্ষক বাতায়ন' দিয়েই শুরু করতে চাই। এতে আপনার ভূমিকা কী ছিল?

জয়দীপ দে : খুবই নগন্য ভূমিকা ছিল। বরং মুক্তপাঠ নিয়ে বলতে পারেন।

মেউ : আচ্ছা, কেমন সেটা?

জয়দীপ দে: প্রথম টেস্ট লাউঞ্চিং আমি করি। কনটেন্ট ডেভলাপ টিমে ছিলাম। নামকরণ, শ্লোগান, ইন্টারফেস ও লোগো ডিজাইন ইত্যাদি করেছি।

মেউ : মুক্তপাঠ সাইট থেকে ঘুরে এলাম, মাত্র। এটি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সাথে কী ধরনের প্রতিচিন্তা তৈরি করে?

জয়দীপ দে: এটা আসলে শিক্ষার চেয়ে প্রশিক্ষণের উপর জোর বেশি দেয়। প্রশিক্ষণে দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। মুক্তপাঠের মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। শুনলে খুশি হবেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য চিকিৎসকরা এখন এখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

মেউ : বাহ। সুবিধাবঞ্চিত মানুষ এখানে শেখার সুযোগ পায়, কিন্তু এই শ্রেণির মানুষের ফোন ও ইন্টারনেট সুবিধা কতখানি? নেটের দাম তো বেশি?

জয়দীপ দে: সেটার জন্য অফলাইনে এসডি কার্ডের মাধ্যমে কনটেন্ট দেয়া হচ্ছে। বিদেশগামী শ্রমিকরাও এখন মুক্তপাঠের কনটেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

মেউ : আচ্ছা। বেশ কাজের জিনিস তাহলে।
নানা পর্যায় থেকে নির্দেশনার পরও মানুষ লকডাউন মানছে না, শপিং কিংবা ঈদে বাড়ি যাচ্ছে ভীড়ের মধ্যে। মানুষ কী বুঝে কম? নাকি ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে?

জয়দীপ দে : ব্যাপারটা বোধহয় অন্য জায়গায়। চীনে করোনা আক্রমণের পরই একটা কথা ছড়িয়ে যায়, রোদে করোনা মারা যায়। করোনায় আমাদের কিছু হবে না। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এটা এক সময় ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। মানুষ ভয় পেয়েছিল। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়েছিল। কিন্তু দুই মাসেও মৃত্যুর মিছিল ইউরোপের মতো দীর্ঘ না হওয়ায় মানুষ কেন যেন একটা আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেছে। পুরনো ভ্রান্ত ধারণায় ফিরে যাচ্ছে।

মেউ : আচ্ছা। এই যে সহজেই গুজব ছড়িয়ে যায়, সেটা এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবেই আছে কি?

জয়দীপ দে: হুম। এদেশে গুজব আর ষড়যন্ত্র সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে।

মেউ : আমাদের এখানে গুজব একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মধ্যে ছড়ানো সহজ, যারা সরল বিশ্বাসী, কিন্তু পুঁজিবাদী পৃথিবীতে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে ছড়ায় প্রপাগাণ্ডা। বাংলাদেশের বাস্তবতায় গুজব ও প্রপাগাণ্ডা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

জয়দীপ দে: এদেশের যত ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গুজব ও প্রপাগণ্ডা প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ধরুন সিরাজউদ্দৌল্লার পতন। এ ক্ষেত্রে সিরাজের বিরুদ্ধে দুটো জিনিসই খুব সুকৌশলে ব্যবহার করা হয়েছে। ক্ষমতায় এলো ইংরেজ। প্রথম সম্মুখ প্রতিরোধ সিপাহী বিদ্রোহ। সেখানেও গুজব কাজ করেছে। পরে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা। সেখানে গুজব আর গুজবের খেলা। ভারত ভাগ হলো, ২৪ বছর আমাদের প্রপাগণ্ডার অন্ধকারে রাখল পাকিস্তানী শক্তি।
মজার ব্যাপার কি, মুক্তিযুদ্ধেও আমরা সুকৌশলে প্রপাগণ্ডাকে কাজে লাগিয়েছিলাম। হা হা হা। এটা অবশ্য যুদ্ধের কৌশল।আবার মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ভূপাতিত করতে আবার প্রপাগণ্ডার কৌশল!

মেউ : সেটা কেমন?

জয়দীপ দে: বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হয়েছেন, আওয়ামীলীগের নেতারা জানতেন। কিন্তু মে মাস পর্যন্ত (যদি স্মৃতিভ্রংশ না ঘটে) তা স্বীকারই করেন নি। কারণ উনি গ্রেপ্তার হয়েছেন জানলে সাধারণ মানুষের মনোবল ভেঙে যাবে। ২৮ মার্চ কলকাতায় ছড়িয়ে গেল টিক্কা খান নিহত। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে হত্যা করেছে। এর পর ঠিক ৩১ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। মারা যান ২৮ মার্চ ২০০২ সালে।

মেউ : আচ্ছা। কিন্তু অস্থায়ী সরকার গঠনের পরেও জানে নি?

জয়দীপ দে: আমার ডকুমেন্ট দেখে বলতে হবে। হুট করলে বিপদ আছে। তবে অনেকদিন হাইড করা হয়েছিল।

মেউ : আচ্ছা। ফোকলোরে 'লোক-আখ্যান' বিষয়ে গুজবকে খুব গুরুত্ব দিয়ে পড়াই। এ জাতিকে বুঝতে গুজব খুব ভালো উপদান, সমাজে ও ইতিহাসে পর্যাপ্ত রয়েছে।
এটা একটা সৃজনশীল ব্যাপার, গুজব তৈরি করা, আর এটা চেইন তৈরি করে, ফলে ন্যারেটিভ চেঞ্জ হতে থাকে। কীংবদন্তি যেভাবে তৈরি হয়, অনেকটাই মিল আছে। অথচ আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা সৃজনশীল নয়। তারমানে জন্মগতভাবে যে সৃজনক্ষমতা মানুষের মধ্যে আছে শিক্ষা ব্যবস্থা একে ব্যবহার করতে পারছে না। আপনার কী মনে হয়?

জয়দীপ দে: তথ্যটা দিয়ে নেই। কলকাতার পত্রিকার মাধ্যমে ১২ ই মে প্রথম জানা যায় বন্ধুবন্ধু গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমাদের যে মিথগুলো, তাতো সেই সৃজনশীল গুজবই আমার কাছে মনে হয়। মহাভারতে ১৮ অক্ষৌহিণী সৈনিকের কথা বলা হয়েছে। এক অক্ষৌহিনীতে থাকে ২১৮৭০০ চতুরঙ্গ বাহিনী। তখন এই ভারতবর্ষে এতো মানুষ কি বাস করত? তাহলে এতো সৈন্য মিলল কিভাবে? কিন্তু এই অতিরঞ্জনের মাঝেও আমরা কল্পনার একটা স্বাধীনতা দেখতে পাই। জীবনবোধের প্রতিফলন দেখি। তাই আমরা এই অতিরঞ্জনকে মেনে নিয়েছি। এই গুজব হিতার্থে। কিন্তু করোনার গুজব হিতার্থে নয়। তাই সমস্যা।

মেউ : আপনি কী কলমে পরীক্ষা দিতেন? মানে কলমের নাম কি। আমি যেমন ইকোনো ডিএক্স দিয়ে।

জয়দীপ দে: যখন যা পেয়েছি। যেহেতু চারুকলায় পড়েছি, তুলি পেন্সিল নরুন এসবও ব্যবহার করেছি। তবে ইকোনোর ভূমিকা এ জীবনে সবচেয়ে বেশি।

মেউ : হ্যাঁ। আমাদের সময়ে ভাবা হত, এই কলমে ভালো লেখা হয়, এখনকার বাচ্চাদের ম্যাটাডর বেশি ব্যবহার করতে দেখি। তারাও ভাবে, এই কলম ভালো। এই যে, ভালো রেজাল্টে কলমের ব্র্যান্ডিং, এটার মধ্যে শিক্ষা ও পুঁজি কীভাবে শৈশব থেকেই হাত ধরাধরি করে হাঁটে?

জয়দীপ দে: ম্যাটাডর আমাদের প্রজন্মকে সেভাবে প্রভাবিত করতে পারেনি। কিছুটা পরে এসেছে। তবে রেডলিফ কলমের কথা স্যাররা বলত। দাম বেশি ছিল। কিনতে পারতাম না।

মেউ : রেডলিফে লেখা খুব আরামদায়ক ছিল, আমাদের সময়েও ছিল।
মেউ : সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীলতা কতটা আসলে?

জয়দীপ দে: আমাদের প্রশ্ন পদ্ধতিকে সৃজনশীল বলা হচ্ছে। কিন্তু হওয়ার কথা ছিল উত্তরদান সৃজনশীল। পাঠদান সৃজনশীল হওয়া। আমরা ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়িয়ে দিচ্ছি।
তথাকথিত অসৃজনশীল সময়ে আমরা বড়ো হয়েছি। কতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছিল স্কুলে। এখন সৃজনশীলতার চাপে সেসব উধাও। সংস্কৃতিহীন শুষ্ক বালুচরে সবুজ শস্য হবে কি করে?

মেউ : এটা আসলে শিক্ষানীতির সমস্যা। নেতৃত্বে যারা থাকেন সদিচ্ছা থাকলেও কীভাবে কীভাবে যেন হয় না আর? যেদিকেই যাওয়া হয়, সুফল মেলে না। আমার স্কুল লাইফ থেকেই নানা এক্সপেরিমেন্ট দেখে এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে উঠছি।

জয়দীপ দে: শিক্ষানীতিতে এসবের কথা সুন্দর করে বলা হয়েছে। আমাদের শিক্ষানীতি অসাধারণ। কিন্তু প্রয়োগের ক্ষেত্রে সব সমস্যা। আমাদের অভিভাবকগণ সংস্কৃতি চর্চাকে সময় নষ্ট মনে করেন। অথচ শিক্ষা সংস্কৃতিরই একটি অংশ।

মেউ : আচ্ছা। কিন্তু তারা সময় যেদিকে ব্যয় করেন সেটাও তো সংস্কৃতিই। তারা কি কোনো কিছু দ্বারা প্রভাবিত, যা অন্যদেশের সাংস্কৃতিক রাজনীতির ফল, যা একধরনের সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ? যাতে এখানে শিক্ষার প্রকৃত সুফল না আসে?

জয়দীপ দে: সব সংস্কৃতি তো আর শুভ নয়। ওরা নেট আর টিভিতে সময় নষ্ট করছে। এটা তার শারীরিক ও সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে।

মেউ : টিভি আর নেটে যে দেশের যত বেশি কন্টেন্ট আর তা সাধারণের সময় দাবি করে, বলা যায় সময় দিতে বাধ্য করায়, তার বিপরীতে আমাদের কন্টেন্ট নাই কেন? নাকি আমাদেরও তেমন কন্টেন্ট আছে, অন্যদেশ দেখে সময় নষ্ট করতে পারে?

জয়দীপ দে: এ চিন্তা থেকে সরকার একটা উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এর নাম কিশোর বাতায়ন। ইদানিং এসব ব্যাপারে অনেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে। শিশুদের জন্য একটা ভালো টিভি চ্যানেল হয়েছে। হবে আস্তে আস্তে।

মেউ : দুরন্ত। হ্যাঁ, বেশি করে হোক। আপনার গল্প উপন্যাস কি শিক্ষাবান্ধব না বিনোদন বান্ধব— কোনটি বেছে নেবেন?

জয়দীপ দে: জানার মধ্যেও কিন্তু আনন্দ আছে। সেটা লক্ষ রেখে আমি ডকু-নভেল লিখি। দুটোর মেলবন্ধন হতে অসুবিধা কি?

মেউ : আমরাও চাই আনন্দ আর শিক্ষা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হোক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় দিলেন। ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।

জয়দীপ দে: আপনাকে ধন্যবাদ। নিরাপদে থাকবেন।


ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ
অন্যপ্রান্তে: জয়দীপ দে, কথাসাহিত্যিক। জন্ম ১৯৮০ তে চট্টগ্রামে রেলওয়ে হাসপাতালে। বাবা ছিলেন রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার। সে সূত্রে রেলপাড়ায় বড়ো হওয়া। আদিভিটা সিলেট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিষয়ে পড়েছেন। বর্তমানে সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: হারকিউলিসের পাখা (২০১৩); উপন্যাস: কাসিদ (২০২০), নিষুপ্ত (২০১৯), গহন পথে (২০১৯)। এছাড়া ভ্রমণ কাহিনী: মাদ্রাজের চিঠি (২০১৯)।
ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ

লেখক পরিচিতি:
মেহেদী উল্লাহ জন্ম:১৯৮৯ সাল
মেহেদী উল্লাহ বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক। জন্মস্থান নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বেড়ে ওঠা চাঁদপুরের কচুয়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিরোধানের মুসাবিদা (২০১৪) তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। তিরোধানের মুসাবিদা গ্রন্থের পান্ডুলিপির জন্য তিনি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ অর্জন করেন। প্রকাশিত অন্যান্য গল্পগ্রন্থ: রিসতা (২০১৫), ফারিয়া মুরগীর বাচ্চা গলা টিপে টিপে মারে (২০১৬), জ্বাজ্জলিমান জুদা (২০১৭), অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগ (২০১৯)। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: গোসলের পুকুরসমূহ (২০১৮)। প্রবন্ধ গ্রন্থসমূহ: ফোকলোরের প্রথম পাঠ (২০১৫), ফোকলোর তত্ত্বপ্রয়োগচরিত (২০২০), লোকছড়া: আখ্যানতত্ত্বের আলোকে (২০২০), নজরুল বিষয়ক সংকলন চর্চার ধরন (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ