bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

বাউলরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক--বাহার লেনিন

করোনা মহামারীর অস্থির সময়ে গত মে-জুন মাসে কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে সমসময়ের কবি, কথাসাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীগণের সাথে 'হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার' (Half an hour chatting about culture) শিরোনামে প্রায় প্রতিদিনই চিন্তামূলক আলাপসমূহ প্রকাশ করেছিলেন, যা সে সময়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে। গতিপথ বাংলা ওয়েবজিনের আলাপ-সিরিজে প্রতি রবিবার মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার এর একটি করে পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে ।

আলাপ সিরিজ : মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার পর্ব-১২

মেহেদী উল্লাহ’র টাইমলাইন: সোমবার, ২৫ মে ২০২০; রাত ০৯ টা ২৬ মিনিট
আজ থাকছেন ঔপন্যাসিক Bahar Lenin। সংস্কৃতি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে—

মেহেদী উল্লাহ : পেশাগত জীবনে আপনি জ্যু অফিসার। মিরপুর চিড়িয়াখানায় কেমন লাগে?
বাহার লেনিন : প্রত্যেক পেশার একটি ভাল দিক আছে আর একটি অপেক্ষাকৃত কম ভালো লাগার দিক আছে। যেমন- গতানুগতিক অফিসের মতো আমার অফিসটা চার দেয়ালে আবদ্ধ নয়। জল, মাটি, প্রাণ আর বৃক্ষরাজির মাঝে আমার দৈনন্দিন অফিস টাইম কাটে। নিঃসন্দেহে এটা একটা ভালো লাগার বিষয়। তার চেয়েও ভালো লাগে এখানকার দর্শনার্থীদের দেখে, বিশেষত শিশুদের দেখে।
মেউ : আচ্ছা। শিশুরা কোন খাঁচার সামনে ভীড় করে বেশি?
বাহার লেনিন : শিশুদের সব কিছুতেই বিস্ময়, আনন্দ। বানর, বাঘ, সিংহ, ময়ূরের পেখম মেলা, জিরাফ, হাতি, গন্ডার, হরিণ, জলহস্তী সব খাঁচাতেই শিশুদের আনন্দের সীমা পরিসীমা থাকে না। তারাও তখন পুতুলের মতো আনন্দে লাফাতে থাকে।
মেউ : আপনি কত দিন ধরে আছেন এই দায়িত্বে?
বাহার লেনিন : ৩ বৎসর ১ মাস। চিড়িয়াখানায় দায়িত্ব পালনের সময় প্রায়ই একটা উপন্যাসের কথা মনে পড়ে। হুমায়ূন আহমেদ-এর “কবি” উপন্যাস। সেখানে একটা চরিত্র আছে- সাজ্জাদ। বড়লোক বাবার কবি সন্তান। কিন্তু বয়সের স্বাভাবিক নিয়মে পড়াশোনা শেষে তাকে তার বাবার বিশাল ব্যবসার নির্বাহী পদে বসানো হলো। কিন্তু চারদেয়ালের অফিসে কবির কি মন বাঁধা যায়? তাই সে একসময় পালালো। চাকুরী তাকে দিয়ে আর হলো না। নিজেকে নিয়েও একসময় এমন সংশয় ছিল। জানি না ভবিষৎতে কি হবে? আমাদের তো বদলীর চাকুরী।
মেউ : আচ্ছা। পশু-পাখিদের খাঁচায় দেখে কেমন লাগে? করোনার এই সময়ে কেমন আছে তারা?
বাহার লেনিন : করোনাকালে চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা বেশ আনন্দে আছে। চিড়িয়াখানায় এখন সাচ্চা প্রাকৃতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। দর্শনার্থীদের হুড়োহুড়ি, হাঁক ডাক, দৌড়ঝাঁপ, খোঁচাখুচি নেই।
তবে চিড়িয়াখানার বর্তমান বন্দিদশা ভালো লাগে না। কিন্তু খুব শিঘ্রই চিড়িয়াখানার আধুনিকায়ন হচ্ছে। যেখানে পশুপাখি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে মুক্ত থাকবে। আর দর্শনার্থীরা সুরক্ষিত বেষ্টনী থেকে পশুপাখিদের অবলোকন করবে।
মেউ : বাঘ কি গোলপাতার পরিবেশ পাবে?
বাহার লেনিন : যথাসম্ভব প্রাকৃতিক পরিবেশ করা হবে। খ্যাতনামা আর্ন্তজাতিক একটি প্রতিষ্ঠান এর পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। আচ্ছা এবার একটু লোকসংস্কৃতির দিকে যাই। আপনি এই বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। এটা আমার জন্য বিরাট সুযোগ- লোকসংস্কৃতির কিছু বিষয় আপনার সাথে শেয়ার করতে পারবো আজ।
মেউ : সেদিকে যাচ্ছি। ঈশপের গল্পে যে পশুদের পাওয়া যায় বা আমাদের লোকগল্পেও যে পশু-পাখির কথা আছে তার সবই আপনি চোখের সামনে একবারে দেখেন! নীতিকথায় বা গল্পে এসব প্রাণিরা মানুষের নানা চারিত্রিক গুণাবলি নিয়ে হাজির হয়৷ ব্যাপারটাকে কিভাবে দেখছেন?
বাহার লেনিন : মাতৃত্ব, আত্মরক্ষা, আধিপত্য, হিস্রতা আর আয়ু, এই বিষয়গুলো মানুষ আর পশুতে শাশ্বত। জীবনকে টিকিয়ে রাখতেই হয়তো প্রতিটি জীবের ভিতর প্রকৃতি এগুলো প্রোথিত করেছে। ঈশপের নীতিকথা আর আমাদের লোকজ গল্পে (রূপকথা/উপকথায়) পশুপাখির উপস্থিতি খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রতিদিনই পশুপাখিদের মাঝে সেইসব গল্পের সার্থকতা অনুভব করি। একবার একটা ঘটনা হয়েছে, একটি বাইরে থেকে উদ্ধারকৃত মা বানর তার বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য বুকের সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছিল। মৃত্যু অবধি সে বাচ্চাটাকে ছাড়েনি। এটাই তো মাতৃত্ব। এই যে গল্প, মাতৃত্বের মহত্ত্ব বুঝানোর জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পশুপাখি তাই যুগের পর যুগ সব দেশেই সব জাতিতেই মানুষের গল্প তৈরির অন্যতম অনুষঙ্গ।
মেউ : লোকগল্পের মার্ক্সবাদী বিশ্লেষণে সবল পশুদের মালিক বা শোষক শ্রেণিতে ও দুর্বল পশুদের শ্রমিক বা শোষিত শ্রেণিতে ফেলা হয়—বাঘ, সিংহ অত্যাচারী আর খরগোশ অত্যাচারিত
বাহার লেনিন : এটা খাদ্যচক্র। প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু মানুষ তো প্রকৃতি থেকে বেড়িয়ে এসেছে। পশুত্ব ত্যাগ করে মনুষত্বে যাত্রা করেছে। সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হতেই হবে। গণতন্ত্র কিন্তু সাম্যবাদের একটা পর্যায়মাত্র।
মেউ : এসব গল্প শ্রেণি বৈষম্যকে উপস্থাপন করে, মার্ক্সবাদী বিশ্লেষকরা সেটা বলতে চেয়েছেন।
বাহার লেনিন : সামাজিক বৈষম্য, বঞ্চনা, শোষকের দ্বারা অত্যাচার, সেখান থেকে পরিত্রাণ, মহানুভবতা, সৎ পরায়ন কর্তৃক মহৎ অভিযান, পশুপাখির অলৌকিক ক্ষমতা দ্বারা সৎ কাজে সাহায্যের হাত বাড়ানো ইত্যাদি, সবকিছুই আসলে একটা সামগ্রিকতাকে নির্দেশ করে। মানব সমাজ। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষের সমাজ। মানুষের বেঁচে থাকা। মানুষের জয়যাত্রা। মানুষের আত্মসম্মান। ব্যক্তি মানুষের চেয়ে সেখানে সমাজই বড় কথা। এই জন্য বিভিন্ন মানবিক বৃত্তি যেমন মহানুভবতা, নিঃস্বার্থ, পরার্থপরতা, ত্যাগ, সাহস ও একক সমাজ (মানব সমাজ) এর কথা বলা হয়েছে বার বার। এটাও এক অর্থে মার্ক্সবাদী দৃষ্টিভঙ্গি।
মেউ : সংস্কৃতি নিয়ে কার লেখা পড়েন?
বাহার লেনিন : সংস্কৃতি নিয়ে একাডেমিক পড়াশোনা আমার নেই। তবে যতীন সরকার, ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বদরুদ্দীন ওমর, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, গোলাম মুরশিদ পড়ে সংস্কৃতির একটা ধারণা তৈরী হয়েছে।
মেউ : বাহ, অনেক পড়েছেন তো! এদের মধ্যে কার লেখা বেশি ভালো লাগে?
বাহার লেনিন : সবাই ভালো। আমিই পড়েছি কম। এরা সবাই নমস্য। যত পড়ি তত ভালো লাগে। অন্ধকার কেটে যায়। গোলাম মুরশিদের বই মূলত তথ্যমূলক। আর বাকিদের বুদ্ধিবৃত্তিক।
মেউ: গোলাম মুরশিদের হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি পড়েছেন নাকি! খুব জনপ্রিয় একটা বই!
বাহার লেনিন : সংগ্রহে আছে। লেখালেখিতে রেফারেন্স বুক হিসেবে কাজে লাগে। খুব মননশীল লেখা। আর সব বিষয়ই তিনি অর্ন্তভুক্ত করেছেন।
মেউ : আচ্ছা। অনেকে বলছেন, এটা নাকি একটা নোট বই? আপনি যেমনটি বলছেন, তথ্যমূলক?
বাহার লেনিন : আপনি যদি ইলিয়াসের বই পড়েন তবে পাবেন, উনি বলছেন, লোকসংস্কৃতি কি, লোকসংস্কৃতির শেকড়, উৎপত্তি, প্রবাহমানতা, প্রয়োগ, আবশ্যিকতা, সাহিত্য, নৃত্য, সংগীত, চিত্রকলায় এর ব্যবহার। কারণ সমাজের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠির সার্বজনীন সংস্কৃতি এই লোকসংস্কৃতি। লোকসংস্কৃতি ধারণ করতে না পারলে বড় কোনো শিল্প সৃষ্ট হতে পারে না। শ্রেণী সংগ্রামও ব্যাহত হবে। কিন্তু গোলাম মুরশিদ-এর এই বইয়ে শুধু সংস্কৃতি’র ইতিহাস বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
মেউ : আচ্ছা। হতে পারে। ইলিয়াসের 'সংস্কৃতির ভাঙাসেতু' সংস্কৃতির বই হিসেবে কেমন?
বাহার লেনিন : ভালো। তবে সময় বদলে যাচ্ছে দ্রুত। উনার লেখার সময় থেকে আমরা কয়েক যুগ পেরিয়ে এসেছি। প্রযুক্তির বিস্ময়কর অগ্রগতিতে মানুষ-সমাজ দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। সংস্কৃতিও বটে। সংস্কৃতির ভাঙাসেতু গ্রন্থে ইলিয়াস প্রবন্ধসমূহে বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্য-সংস্কৃতির আধুনিক উত্তরণ চেয়েছেন। মানে, লোকজ সংস্কৃতির বুৎপত্তি করে অনন্য শিল্প সৃষ্টির কথা বলেছেন। যেমন, লোকগীতির সুর বড় বড় শিল্পী’র হাতে বিবর্তিত হয়ে রাগ-রাগিণীর পর্যায়ে উন্নীত করা। কিন্তু এখন সময়ের প্রশ্ন হলো- এই সমাজ-সময়-রাজনীতি-সাংস্কৃতিক আন্দোলন কি বড় শিল্পী তৈরী করে?
মেউ : শিল্পীসমাজের এই অবস্থা কেন?
বাহার লেনিন : আমারও সেই প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই এখন সবচেয়ে জরুরী।
মেউ : আপনি কুদ্দুস বয়াতিকে গুরুত্ব দেন?
বাহার লেনিন : হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ যাকে জনপ্রিয় করলেন। মনটা খারাপ। রণেশ বাউলের ঘরবাড়ি ওরা জ্বালিয়ে দিল!
মেউ : তিনি গান গাইতে পারেন, কিন্তু সাংস্কৃতিক রাজনীতি বুঝেন না। সে কারণে তিনি সংস্কৃতিকে রাজনৈতিকভাবে পৌঁছাতে পারবেন না কখনো দেশের মানুষের কাছে ! বাউলদের সমস্যা রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সাথে না, হচ্ছে মূলধারার ধর্মীয় গোষ্ঠীর স্বার্থে। এরকম কি মনে হয়? আগে থেকেই সমস্যা, যখন ভারত পরাধীন ছিল।
বাহার লেনিন : রাজনীতি বুঝলে তো শরীয়ত বয়াতী, রণেশ ঠাকুরেরা এভাবে নিগৃহীত হতেন না। সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে উঠতো অনেক আগেই।
মেউ : রণেশ ঠাকুরের ঘর পুড়ে গেছে, তবুও তিনি কালারফুল পাঞ্জাবি পরেছেন, কালো পাঞ্জাবি পরা থাকলে মিডলক্লাসের সিম্পাথি পেতেন বেশি, কি মনে হয়?
বাহার লেনিন : না, ধর্মীয় গোষ্ঠীই রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত। রাষ্ট্রের কাছে তারা গুরুত্বপূর্ণ।ভোটের রাজনীতি! বাউলরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। রাষ্ট্র অসাম্প্রদায়িক নয়। অথচ আমরা ভেবেই বসে আছি বেশ ভালো আছি! রাজনীতিটা এখানেই। মোহাবিষ্ট হয়ে যাচ্ছি আমরা এক একটা ব্যক্তি মানুষ। বিচ্ছিন্ন মানুষ। তাই শক্তিহীনও।
মেউ : আচ্ছা। আমি অবাক হই, দেখছেন, এরা কতটা আলাদা, আমাদের মধ্যবিত্তের চেয়ে, শোকের রং কালো, এটা ভাবে না, ঠিকই গানে কান্না কান্না ভাব ছিল রণেশের, যেটা ঘরপোড়া নিয়ে গাইলেন!
বাহার লেনিন : মনের রংই আসল। এটাই বুঝে না মিডলক্লাস ৷ মধ্যবিত্তরা সুবিধাবাদী শ্রেণী। তারা অনায়াসেই গড্ডলিকায় ভাসে। কর্পোরেট সাম্রাজ্য তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কালার দিয়ে দুঃখানুভূতি জাগাতে হয়। কেন মানুষের মন নাই? তারা বাউলের মনে মন স্থাপন করতে পারে না। কারু ঘর, সাধনার বস্তু পুড়িয়ে দিলে কেমন লাগে তারা সেটা বুঝে না! যদি কেউ তার আত্মাটা কাইড়া নেয় তাইলে কেমন লাগে! তাইলেও কি কালা কাপড়ে তার লাশ বানতে হইবো?
মেউ : দেখা যাক, সামনে কী আছে?
বাহার লেনিন : সবকিছুর ব্যর্থতার দায়, আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা। এই “হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার” এ সাখাওয়াত টিপু ভাই বলছেন না- “জনগণের নির্ভরতার জায়গা রাজনৈতিক দল।” প্রথমত সেটা আজও আমরা গড়ে তুলতে পারি নাই। রাজনীতিই তো সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। তাই সবকিছু- শিল্প-সাহিত্য- সবকিছু মুখ থুবড়ে পড়ছে। সংস্কৃতি উপেক্ষিত হচ্ছে। এই “হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার” এ নওশাদ জামিল ভাই তো মূল কথাটাই বলছেন “ রাষ্ট্র ও সমাজে শ্রেণী বিভাজন যত প্রকট হচ্ছে, সাংস্কৃতিক ঐক্য ততই ব্যহত হচ্ছে।” এতে ক্ষতিটা হচ্ছে কার? এই ভূখণ্ডের স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের। মানুষের সম্মিলিত লড়াইটা পাওয়া যায় না কোথাও। সমাজ এগুচ্ছে দ্বিধান্বিত একটা পথে। এর পরেও কি আমাদের ঘুম ভাঙ্গবে না? আর আপনার কথায়- সংষ্কৃতির চর্চায় রেফারেন্স রেফারেন্স যোগ করে গবেষণা; সেখান থেকে আবার রেফারেন্স দেওয়ায় যে ভাবের দৈন্য তৈরী হচ্ছে তার কি হবে? এগুলোই এখন ভাবনা সময়ের দাবী? প্রশ্ন তুললে উত্তর একদিন না একদিন বেরিয়ে আসবেই।
মেউ : সমাজ রাজনীতির প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত থাকতে পারে, কিন্তু রাজনীতির সংস্কৃতির প্রশ্নে সম্মিলিত না থাকতে পারলে সমস্যা।
লকডাউনে চিড়িয়াখানার কোন প্রাণিকে বেশি মিস করছেন?
বাহার লেনিন : মিস করি না। রোস্টার অনুযায়ী নিয়মিত অফিস করছি। সবার সাথেই নিয়মিত দেখা হয়।
মেউ : অনেক ধন্যবাদ ভাই, মধ্যরাতে সময় দেওয়ার জন্য, আপনার চিড়িয়াখানার প্রাণিকুলের মতো মানুষও এখন ঘরবন্দি। সবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
বাহার লেনিন : আমাকে আপনার এই “হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার” এ যোগ দেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় সবিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভরাত্রি!
মেউ : শুভরাত্রি, ভাই। ভালো থাকবেন।

ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ
অন্যপ্রান্তে: বাহার লেনিন ঔপন্যাসিক। জন্মস্থান ময়মনসিংহ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন । প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: প্রেম ও অভ্যুত্থান (২০১৬)।
ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ

লেখক পরিচিতি:
মেহেদী উল্লাহ জন্ম:১৯৮৯ সাল
মেহেদী উল্লাহ বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক। জন্মস্থান নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বেড়ে ওঠা চাঁদপুরের কচুয়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিরোধানের মুসাবিদা (২০১৪) তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। তিরোধানের মুসাবিদা গ্রন্থের পান্ডুলিপির জন্য তিনি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ অর্জন করেন। প্রকাশিত অন্যান্য গল্পগ্রন্থ: রিসতা (২০১৫), ফারিয়া মুরগীর বাচ্চা গলা টিপে টিপে মারে (২০১৬), জ্বাজ্জলিমান জুদা (২০১৭), অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগ (২০১৯)। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: গোসলের পুকুরসমূহ (২০১৮)। প্রবন্ধ গ্রন্থসমূহ: ফোকলোরের প্রথম পাঠ (২০১৫), ফোকলোর তত্ত্বপ্রয়োগচরিত (২০২০), লোকছড়া: আখ্যানতত্ত্বের আলোকে (২০২০), নজরুল বিষয়ক সংকলন চর্চার ধরন (২০২০)।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ