bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

ঘনকৃষ্ণকালে প্রিয় তার দেখা । বিথী রায়ের গদ্য

ঋণস্বীকার: ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজ: তুহিন ওয়াদুদ। 
সকাল ১০ টার দিকে ফোনে মেসেজ আসলো। ঘুমের ঘোরে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম জিপি থেকে। ফোনটা হাতে নিতেই খেয়াল হলো আজ তো ক্লাস আছে। কিন্তু এখন তো ১০ টা বাজে। যতদূর মনে পড়ে রাতে ঘুমানোর আগে ৯ টায় এলার্ম দিয়ে ঘুমিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক দিন মানে দীর্ঘ ছয় মাস পর ক্লাস করতে যাবো। দীর্ঘ ছয় মাস পর মেসের চারতলা থেকে একটা একটা করে সিড়ি ভেঙ্গে চকবাজারের দোকানগুলো, দোকানগুলোর ভেতরে বসে থাকা পরিচিত মুখগুলো দেখতে দেখতে পার্কের মোড়ে রফিক হোটেল, একটু হেঁটে সাগরিকা হোটেল, তিনকোনা জায়গা টং চায়ের দোকান দেখতে দেখতে যাব আর ভাববো-- এই যে হোটেল, টংয়ের চায়ের দোকানগুলোও অনেক দিন পর আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। বিশেষ করে ভার্সিটি গেটের তিনকোণা জায়গার টং চায়ের দোকানগুলোতে সারাদিন কাপ থেকে ধোঁয়া, টু টাং শব্দ, অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর হাসি -আড্ডার শব্দ সম্ভব নয় ভার্সিটি বন্ধ থাকলে। যাইহোক, অনেক দিন পর  ভার্সিটিতে ক্লাস শুরু হচ্ছে, আবারো চায়ের দোকান গুলোতে জোরালো কন্ঠে চায়ের অর্ডার ভেসে আসছে-- মামা, আরো একটা লাল চা দেন...

ইসস নয়টার এলার্ম বাজলো না ক্যান? ফোনের এলার্ম আইকন স্ক্রীনে ভেসে আছে ঠিকই, তাহলে? ক্লক এ্যাপসে গিয়ে দেখলাম ৯:০০ AM  না দিয়ে PM দিয়েছি। ক্লাস তো সকাল সাড়ে দশটায়। এখন কি করবো, ফ্রেস হয়ে রেডি হই কখন। ধুত্তরি, এই ছয় মাসে কি খারাপ অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছি দেরী করে ঘুম থেকে উঠে উঠে। কাল বিকেলে মেসে এসে কয়েকমাসের পরিত্যক্ত রুমটা বাসযোগ্য করে তুলতে বহু শ্রম দিয়েছি। কায়িক পরিশ্রমে ঘুমও হয়েছে সেরকম। অচেতনভাবে একবারে ১০ টা পর্যন্ত। ডিসিশন নিলাম, ক্লাস মিস করবো না, দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম ক্লাস, যেতেই হবে। তাড়াহুড়া করে ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে ফ্রেস হতে চললাম। মিনিট পনেরর মধ্যেই রেডি হয়ে নিলাম। তাড়াহুড়া করে সিড়ি ভেঙ্গে নিচে নামতে গিয়ে পায়ে-পা জড়িয়ে পড়ে যেতে ধরলাম। কেন এমন হচ্ছে, আমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস করতে যাচ্ছি নাকি! উত্তেজনায় ফুটতে ফুটতে নিজেকে প্রবোধ দিলাম এখন তো ফোর্থ ইয়ার। এই তো কিছুদিন আগেও ক্লাস, ইনকোর্স, এস্যাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, মিডটার্ম করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতাম। সরকারি সাধারণ ছুটির ঘোষণা এলে খুশিতে প্রায় লাফাতে লাফাতে চলে গিয়েছিলাম বাসায়। আর এখন সেই ক্লাস করতেই এমন ভাবে ছুটছি যেন নতুন প্রাণোদ্যমে যুদ্ধে যাচ্ছি, যুদ্ধে তবে হারানো রাজ্য উদ্ধার হবে, ফিরে পাব আগের মতন সবকিছু যেমন ছিল তেমন...

মেস বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে একটু হেঁটে গিয়ে চকবাজার। কিন্তু বাজারটা কেমন যেন শুনশান। এত বেলাতেও ভুতুড়ে ভাব। বাজারটা এমনিতে ঘন-ঘিঞ্জি গলির বাজার নয় তবু এমন দেখাচ্ছে কেন? আকাশে মেঘ নেই একফোঁটা তবু চারাপাশে অন্ধকার নেমে আসছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুয়েকটা দোকানমাত্র খোলা। বাজারের এসব দোকানে টুকটাক কেনাকাটা করতাম নিত্যই। দোকানিরা যারা বসে আছে কাউকে চেনা লাগছে না। অপরিচিত মুখগুলো কোত্থেকে এলো! সবজি বাজারের পাশ দিয়ে যেতে যেতে সবজি-মামার দোকানে উঁকি দেই। মামা নেই, থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করা যেত-- বাজারটা এমন ভুতুড়ে দেখায় কেন? কি হয়েছে সকলের? দোকানে বসে লোকগুলো কারা? আগের মানুষজন গেল কই? দোকানগুলোই বা বন্ধ কেন? মনে পড়ল, সবজি মামার দোকানের পাশে এলপি গ্যাসের দোকানে একরাতে আগুন লাগল। লাগোয়া আরো দুতিনটি দোকান পুড়ে গেল নিমিষে। কতক দূরে হলেও মেস বিল্ডিংয়ের ওপরের তলাগুলো থেকে পস্ট দেখা গেল পুড়তে থাকা আগুনের লেলিহান শিখা আর ফড়ফড় শব্দে উড়তে থাকা স্ফুলিঙ্গ। ওরকম আগুনকে ভয়ঙ্কর জীবন্ত  দানব মনে হ’ল সেরাতে, ভয় পেলাম খুব।

পা বাড়ালাম ভার্সিটির পথে। ভেতরে দামামা বাজছে। একা একা ফাঁকা রাস্তা ধরে হাঁটতে গিয়ে কাউকে পেলাম না। এমন কি একটা রিকসাও না। সালামের মোড়ে বড় গাছটার তলে এসে থামলাম। গাছের নিচে মধ্যবয়স্ক মুচি লোকটা জুতা সেলাই করতো। ক্লাসে যেতে আসতে প্রতিদিন দেখি লোকটিকে। হাতে কাজ না থাকলে কাঠের বাক্সে কুনু্ই জুড়ে দিয়ে মগ্ন হয়ে পেপার বা অন্য কোনও কিছু পড়ত। দেখে খুব ভালো লাগে যে সে পড়তে ভালোবাসে। তাকে দেখে মনে হ’ত স্বশিক্ষিত, অনেক খবর জানে, দেশ-বিদেশের, জ্ঞান-বিজ্ঞানের। লোকটিকে দেখতে না পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
বুকের ভেতর দামামা বেজেই চলল। আরকে রোড ধরে ঢাকা-রংপুর-কুড়িগ্রাম বা লালমনিরহাটের দিকে চলে যাওয়া মহাসড়কের পাশ দিয়ে ভার্সিটিমুখে হেঁটে চলছি। মহাসড়কটি যেন বর্তমানকে ভেঙ্গে কোনও অজানা অতীতে ফিরে গেছে। যা আগে আমরা দেখিনি। পার্কের মোড়ে এলে রফিক হোটেল বা সাগরিকা হোটেলের সামনে ছেলেমেয়েদের ব্যস্ততা আশা করেছিলাম। পার্কের মোড় বা ভার্সিটি গেটের তিনকোণা জায়গার টং চায়ের দোকানগুলোতে সারাদিন কাপ থেকে ধোঁয়া, টু টাং শব্দ ওঠা টং চায়ের দোকানগুলো বন্ধ। ভার্সিটির প্রবেশদ্বারের সামনে রাস্তা পারাপারের জয়াগায় দাঁড়ালেও রিক্সা বা অটোরিক্সার কেউ ডাকলো না, ‘যাবেন আপু? লালবাগ - জাহাজকোম্পানি - কাছারি - মেডিকেল মোড়’। দীর্ঘ বিরতির পর আজ প্রথম দিন, তাই হয়তো দোকানদার, রিকসাওয়ালা, অটো রিকসাওয়ালারা এখনো বের হয়নি। আবার ভাবি, এমন কি হওয়ার কথা? এতো দিন পরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। দেশে পাবলিকগাড়ি চলছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শপিংমলগুলো খুলে গেছে, চাষীরা তাদের ফলানো শাকসবজি হাটে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে, ফুলবিক্রেতা ফুল বেচছে... সব-কিছু তো স্বাভাবিকভাবেই চলছে...গাছের ডালে বা ইলেকট্রিক সাপ্লাই লাইনে বসে কোথাও তারস্বরে একপাল কাক কা কা ডাকছে। ভেতর থেকে ফের দামামা বেজে উঠল-- কাক করে কা কা, চতুর্দিকে ফাঁকা!
ক্লাসের দেরী হয়ে যাচ্ছে, ক্লাস ধরতে হবে।

দেখতে রং চং নাই সাদা-মাটা খুব সাধারণ প্রবেশ দ্বার কিন্তু মনে হচ্ছে আমি ঢুকছি যেন কোনও পূণ্যভুমিতে। এখানে ঢোকার সময় কখনও মাথা নিচু করি না এটা ভেবে যে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাকিং নাম্বার আছে কি নাই, থাকলেও কত নাম্বারে! প্রশান্তির শ্বাস ছাড়ি--আহা! কত্ত দিন--কত্তদিন পর আবার এই স্বর্গীয় জমিনে পা রাখলাম।
প্রবেশ দ্বারের দিকে তাকিয়ে আমার চোখের কোণে জল জমে গেল। গলা ভারী হয়ে এল। তুলনা করে দেখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক বলে মনেই হয় না--দেখতে যে কোনো ফ্যাক্টরির সাধারণ ফটকের মতো মনে হবে! কত দিন পর ফটকের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি, আহা! এই প্রবেশদ্বার আমাদের জীবনে কত শত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। কংক্রিটের ফটকে পরম মমতায় হাত বুলিয়ে ছুঁয়ে দেখি। পাশের দেয়ালটা দরদী শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ‘মানবতার দেয়াল’। শুন্য দেয়ালের গায়ে দীর্ঘদিন রোদ-জলে পুড়ে লেখা অক্ষরগুলো কেমন বিবর্ণ ঝাপসা হয়ে পড়েছে। দেয়ালে সবসময় কিছু না কিছু ঝুলতে দেখেছি। তবে সবগুলো ছেলেদের পোশাক। কখনও জিন্স প্যান্ট, কখনো শার্ট আর কনকনে শীতের সময় মোটা সোয়েটার। অনেকবার ভেবেছি, মেয়েদের পোশাক থাকে না, শুধু ছেলেদের পোশাক থাকে কেন? আমার ব্যবহারযোগ্য পুরনো ড্রেসগুলো তো দিতে পারি। বোধহয় হীনমন্যতা থেকে আর দিতে পারি নি। যদি কেউ উপহাস করে। মেয়েদের সংকোচের কথা ভেবেছি। কেউ কি নেবে আরেকটা মেয়ের পোষাক। উল্টো ভেবেছি কোনও কামোন্মাদ পুরুষের কথা। নারীর গায়ের পোষাক পেলেই যারা শুঁকে শুঁকে যৌনতা কল্পনা করে...ঘৃণায় দম বন্ধ হয়ে আসে। আমার আর মানবতার দেয়ালে অবদান রাখা হয় নি। ছেলেদের জন্য নতুন কোনও ড্রেসও কিনে দেওয়া হয় নি।

ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সারা শরীর আনন্দে মাতোয়ারা। শিরায় শিরায় সঙ্গীতের মূর্ছনা জেগে উঠেছে...
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
শাখে শাখে পাখি ডাকে
কত শোভা চারিপাশে।।
আজকে মোদের বড়ই সুখের দিন।
আজি ঘরের বাঁধন ছেড়ে মোরা হয়েছি স্বাধীন।
আহা হয়েছি স্বাধীন।

হঠাৎ খেয়াল হ’ল আমি একা। আর কেউ নেই কেন? তাহলে কি আজ ক্লাস নেই? ক্যাম্পাস একদম ফাঁকা। খুব আগেই এসে পড়েছি কি? হাতঘড়ির ডায়ালে চোখ বুলিয়ে নেই। ঠিকই আছে তো। প্রথম দিনে সকলে দেরী করে আসবে নাকি সকলে ক্লাসরুমে, কেউ অযথা বাইরে নেই। ধীর পায়ে হেয়াত মামুদ ভবনের দিকে এগিয়ে যাই। কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো একা একা দাঁড়িয়ে। মনে পড়ল, গেল বসন্তে গাছগুলো টুকটুকে লালকৃষ্ণ ফুলে যৌবনের গান গেয়েছিল। তখনই আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাই। এখন ফুল নেই। রাস্তার দু’পাশের মাঠে তাকালাম। মুকুরে ভেসে ওঠে সারাবছর বিভাগীয় ফুটবল বা ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে খেলোয়াড় সমর্থকদের উত্তেজনা দাপাদাপি উল্লাস হইচই। মাঠের একপাশে অস্থায়ী কমেন্ট্রি কর্ণার থেকে ফানি ধারাভাষ্য শুনতে শুনতে পেটে খিল ধরে যায়।  এখন মাঠে কেউ নেই, কিছু নেই। কেবল তরুন ঘাসেরা সবুজ রঙের গালিচা বিছিয়েছে। এমন জাদুময় মাঠে ছুটে যেতে মন চাইল। আমাকে আগে ক্লাসে যেতে হবে। রাস্তা ছেড়ে স্বাধীনতা স্মারকের মাঠে পা বাড়ালাম। কী অপূর্ব! পাশের ঘাসবনে লজ্জাবতী লতায় ফুল ফুটে আছে। অন্য সময় হলে দুষ্টুমি করে আলতো নাড়িয়ে দিতাম। লজ্জায় পাতারা মুড়ে যেত। এখন সময় কম। ক্লাসে যাই আগে।

যেতে যেতে শহীদ মিনার, কেমন মৌন হয়ে আছে। ওপাশে দৃঢ়পায়ে দাঁড়ানো স্বাধীনতা-স্মারকটির মাথা আকাশ ফুঁড়ে সূর্যমুখে উঠে গেছে। চারপাশে কোনও ছায়া নেই। এই প্রাঙ্গণ সকলের পদচারণায় মুখর থাকে। এখন কাউকে দেখা গেল না। খুব বসতে ইচ্ছে করল এখানে, আগের মত। দেখতে দেখতে জারুলবনের তলে দিয়ে যাই। অসম্ভব বেগুনি আভায় চোখেরা জ্বলে গেল। মনে হ’ল ক্লাসে না গিয়ে জারুল রঙ হৃদয়ে মেখে সারা ক্যাম্পাসে ছুটে বেড়াই, ক্যাফেটারিয়া, মাঠ, তরুতল সবখানে। কিছুই করা হ’ল না। বুঝতে পারছি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। নিজেকে সঁপে দিয়েছি অদৃশ্য কারও হাতে। সে যেন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ক্লাসরুমের দিকে।
আমাকে যেতেই হবে। 

পেছন থেকে কেউ আমাকে ডাকল? না, কই, কেউ তো নেই।
আবার ডাকলো। আফসানার গলা মনে হ’ল। হ্যাঁ। আফসানার গলাই। আমরা একসাথেই ক্লাসে যাওয়ার কথা। ক্লাসে যাওয়ার উত্তেজনায় আফসানাকে বলতে ভুলে গেছি। আফসানাকে খুঁজতে পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখলাম না, কেউ নেই, সব ফাঁকা। হৃৎপিন্ডে আবার ভয়ের দামামা বাজতে শুরু করলো।
নাম ধরে এবার অন্য কেউ ডাকল। আফসানা না। পরিষ্কার শোনা গেল। অতি চেনা কন্ঠ, খুব প্রিয় কেউ। আলতোভাবে মাথা ছুঁয়ে দিয়ে বলল, ‘তুমি উঠবা না। ১০ টা বেজে যাচ্ছে তো। এবার ওঠো।’


লেখক পরিচিতি:

বীথি রায়
বিথী রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। জন্ম ১৫ নভেম্বর, ১৯৯৬ সাল। জন্মস্থান গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জের তালুক কানুপুর গ্রাম। শৈশব-কৈশোর থেকেই গল্প উপন্যাস কবিতার পাঠক। একাডেমিক বিষয় সাহিত্য পড়তে গিয়ে সাহিত্য তার প্রেরণা হয়ে উঠেছে। 
গতিপথ ওয়েবজিনে ‘ঘনকৃষ্ণকালে প্রিয় তার দেখা’ প্রকাশিত প্রথম গদ্য।                                           

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. আবেগ প্রবণ হয়ে গেলাম। সাবলীল ভাষায় যেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার স্বপ্নেের রূপ প্রকাশ হয়েছে।

    উত্তরমুছুন