bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

বড়মামার কবিতা: গন্ধ বিধুর ধূপ

কুলদা রায়ের গদ্য: জলের মধ্যে লেখাজোখা: পর্ব ৮

বড়মামার কবিতা: গন্ধ বিধুর ধূপ 

আমার বড়মামা জীবনে একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলেন। লিখেওছিলেন। মাত্র দুটো লাইন—

ওগো গন্ধ বিধুর ধূপ

তুমি কেন আজি চুপ।।

লিখে দেখাতে চেয়েছিলেন বাংলার রাসমোহন সাহাকে। সাহা স্যার থাকতেন সোলায়ম্যান ম্যানসনে। আমাদের ছোটো নদীটির পাড়ে।

তখনো নদীটি বেশ বড়ই ছিল। মাঝে মাঝে নদী শ্বাস ছাড়ত। সেই শ্বাসে অনেকের বুকের ভেতরে দীর্ঘশ্বাস জমা হত। সেসব এখন গপ্প। এই গপ্পের পাড়ে ইউ প্যাটার্নের সোলাইম্যান ম্যানসন। বেশ বড়োসড়ো লালবাড়ি। দোতলা। নীচতলায় সল্লু দর্জির দোকান। তারপর রামু মুচির শো রুম। নাম নাই। জিজ্ঞেস করলে একগাল হেসে বলত—রবিদাস কারখানা। একদিন সাইনবোর্ড লেখা হবে। সেই একদিন আসিবে নিশ্চয়। এরপরে ধনঞ্জয়ের ধনা স্পেশাল পানের দোকান। এখানে সন্ধ্যার পরে পান বিক্রি হয়। খাইলে ভানুমতি নিশ্চিত। ভানুমতি কে একথাটা ছিল গুপ্ত। কারো কারো কাছে ছিল সুপ্ত। কিছু কিছু লোকজন সকাল থেকেই এ দোকানের আশপাশে ঘুর ঘুর করত। করুক। তাতে ধনঞ্জয়ের কিছুই ঠেকা পড়ে নাই। সন্ধ্যাকালে ধনা স্পেশাল পানের ঝাঁপ তোলা হত। রামু মুচির দোকান আর ধনা পানের দোকানের মাঝখানে বেশ বড়সড়ো একটি প্রবেশ পথও ছিল। এই পথে পরীরা যাওয়া আসা করত বলে পথটির নাম ছিল পরী গেট। পরী দেখলেই লোকে ভয় পেত। আর এই আনন্দে রাসমোহন সাহা এই সোলাইম্যান ম্যানসনে একা একা থাকতেন। দিনের বেলায় ঝাঁপ ফেলা ধনা পান স্টোরে। আর রাতে রামুমুচির শো রুমে।

বড়মামা দিনের বেলা এসেছিলেন এই সোলায়ম্যান ম্যানসনে। কিন্তু সেদিন ঘটনাক্রমে ধনার ঝাঁপ খোলা। ঘরের মধ্যে রাসমোহন স্যারের থাকার কথা। তিনি নাই। তার বদলে এক ঘোমটাবতী ফোঁস ফোঁস করছেন। মামা ভেতরে ঢুকবে কি ঢুকবে না ভেবে দোনোমোনা করছেন। বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। তখন, ঘোমটাবতী আওয়াজ দিলেন, কেডা তুমি চান্দু?

মামা চমকে গেলেন। অর্ধস্ফুট গলায় বললেন, ধূউপ..

–ধূউপ?

–ওগো ধূপ।

–কি, আমি ধূউপ। তুমি হালায় আমারে ধূপধুনা ধান্ধাইতেছ? তুমি আগুন জ্বালাইতে চাও?

–না, আমি কইতে চাইছি—ওগো ধূপ।

–আবার ওগো ডাকতিছ? এক হালায় আগুন জ্বালাতি জ্বালাতি কম্ম ফতে করছে। আর তুমি আইছ ম্যাগো ফ্যাগো বোল ধইরা। রসো—রসো, তুই গেলি কুহানে?

–এইতো আমি। মামা বলল।

–তর নামও রসো নিকি?

–হ। রসো। রসরঞ্জন বনিক।

–অ। তুইও রসো। এত রস আছে দুন্নিয়ায়? গেছিরে বাপা। বলে ঘোমটাবতী থেমে গেল। মেঝের উপর ধপ করে বসে পড়ল। তখন তার মাথা থেকে ঘুমটা খুলে গেছে। একমাথা চুল। আর সিঁথিতে টিকলি। নাকে নথ। কানে মাকড়ী। পুরো রসোবতী । রসবতী বড়মামার দিকে বড় বড় চোখ করে বলল, তুমারে নয়গো বাছা। আমি রাসমোহনরে খুঁজছি। আমি ফুলপরী। ফুলবনে থাকি। বাংলার রাসমোহন আমার ডানা লইয়া গেছে। কী করি কওতো?

কী আর কওয়া হয়নি। আমার বড় মামা কাঁপতে কাঁপতে ধনা স্পেশাল পান স্টোর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন সেইদিন। আর ওদিকে যাওয়া হয়নি। কবিতাটি দেখানো হয়নি রাসমোহন সাহাকে। রাসমোহন সাহাকেও আর আমাদের শহরে দেখা যায়নি। অসামাপ্ত রয়ে গেছে গেছে সেই ধূপের কবিতাটি। সোলাইম্যান ম্যানশন, ধনা বা রামু মুচির দোকান সেই একই রকম রয়েছে। সেখান থেকে দিনে চামড়ার গন্ধ বের হয়। আর রাতে স্পেশাল পানের খুশবু। পরী গেটে মাঝে মাঝে পরীরা আসে যায়। মাঝখানে বাঁকা নদী আরও বাঁকা হয়েছে। এই পর্যন্ত। কোনো কোনো কবিতা অসমাপ্ত রয়ে যায়।


২.

অসমাপ্ত থাকার অনেক বেদনা আছে। সে বেদনায় বড় মামার কলেজে যাওয়া থেমে গেছে। বাবা তাকে নিয়ে হাটে গিয়েছিল। হাটুরেদের দেখে মামা হা করে চেয়ে থাকত। এই ফাঁকে অনেক আলু-পটল উবে যেত। বাবা একদিন রাগারাগি করে বলেছিল, তুমারে কি ভুতে পাইছে?

মামাকে কোন ভুতে পেয়েছিল বাবাকে তা কখনো বলেননি। শুধু পরদিন বড়মামা নাই হয়ে গেল। আজা মশাই লোক মারফত জানিয়েছিলেন—রসোকে কেশীর মায়ের কাছে নেওয়া হয়েছে। তিনি চালপড়া দিয়ে বলেছেন, এ ভুত যে সে ভুত নয়। কিম্ভুত। সুতরাং উপায় নাই!

এর মধ্যে আজামশাই বুড়ো হয়ে গেছেন। তাঁর চুল দাড়ি সব পেকে গেছে। সামান্য কুঁজো হয়ে চলেন। চোখে নীল বর্ণ। সন্ধ্যায় হাঁপাতে হাঁপাতে গান ধরেন, হরি দিনতো গেল সন্ধ্যে হল। পারের জন্য তার অপেক্ষা হচ্ছে। হরি এলেই সন্ধ্যে সন্ধ্যে রওনা করে দেবে। এভাবে ধূপের মত আর পুড়তে মন চায় না।

আজা মশাই তাঁর সাত মেয়ে আর পাঁচ ছেলেকে কাছে ডাকেন। মেজোমামা, সোজোমামা, নমামা, ছোটোমামা এসেছেন। বড় মামা আসেন নাই। বড়মামা তখন বারখাদিয়ার বটতলায় বিড়বিড় করছেন। তার কাছে লোক গেল। বাড়ি ফিরতে ফিরতে চাঁদ উঠে গেছে। কোনো এক ফুলের সুবাস আসছে। সেই সুবাসে তাড়াতাড়ি হাঁটা মুশকিল।

বারবার বড়মামা বসে পড়ছে। এই আলো আর হাওয়ার মধ্যে আকাশ থেকে নেমে এসেছে রেশমের মতো মিহি সিঁড়ি। সিঁড়ি বেয়ে নেমে পড়েছে এক মেয়ে। পথ হারিয়ে ফেলেছে।  তার চোখে  বিষাদ। চারিদিকে মাঠে নির্জনতা। দুটো কোঁড়া পাখির ডাক। হাতে দুটো পদ্মপাতার ডানা। এই ডানা মেলে উড়তে পারবে। পথটি খুঁজে পাবে। উড়ে যাওয়ার জন্য  মেয়েটি পিঠে ডানা লাগাবে। চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। ঠোঁট নীল হয়ে গেছে। চোখে জল। অস্ফুট গলায় বলছে, আহ— আহ্... এই আর্তনাদ শুনে বড়মামার ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে। পারছে না। মামাকে লোক ধরে আছে। বলছে, দেরী কইরো না। সময় নাই।

সময় কোথায় যায়? সময় নাই কেন? এটা ভাবতে ভাবতে বড়মামা দেখতে পাচ্ছেন, মেয়েটা একা দাঁড়িয়ে আছে। তার চুল উড়ছে। হু হু হাওয়া। হাওয়া বলে, সময় চলে যায়গো মেয়ে। সময় যায়।

বড়মামা বলার চেষ্টা করছে, আমি আসছি।

মেয়েটা বলছে, আহ-আ-হ।

মামাকে লোকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মাঠ থেকে, রাত থেকে, আলো থেকে, হাওয়া থেকে। বলছে, দেরী কইরো না। মাস্টার মশাই অপিক্ষা করতিছেন।

সত্যি সত্যি আজামশাই অপেক্ষা করছিলেন। বড়মামাকে দেখে ডান হাত দুটো ওঠানোর চেষ্টা করছেন। হাতটা কেঁপে কেঁপে উঠল। সামান্য উঠল। আবার পড়েও গেল। সাদা ভুরুর মধ্যে মাকড়সা। চোখ স্থির।

বড়মামা আজা মশাইয়ের কানের কাছে মুখ নামিয়ে বলছেন, অ বাবা, ধূপ, ধূপ রাখছো কোথায়? ধূপ আছে কোথায়?

সেদিন মামাবাড়িতে কোনো ধূপ ছিলনা সত্যি সত্যি। থাকলেও আজা মশাই কোথায় রেখেছেন কেউ জানে না। কাউকে বলে যাওয়ার সময় ছিল না। আর আদৌ কিনেছিলেন কিনা—সেটাও কঠিন প্রশ্ন বটে। এই কারণে আজামশাইকে লোকে পুকুর পাড়ে নিয়ে গেল। বাড়ির পশ্চিমের তালপুকুর। থৈ থৈ জল। জলে হৈ হৈ মাছ। দক্ষিণ পাড়ে দুটো  তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে। তালপাতায় বাবুই পাখি। খড়কুটোর বাসার বাইরে উঁকি দিয়ে চেয়ে আছে। আজা মশাইয়ের মাকড়সার ভুরু মাটিকদম হয়ে যাচ্ছে। তাই দেখে বড়মামা চেঁচিয়ে বলছেন, অ বাবা, মাইয়াডারে মশায় কামড়ায়। ধূপ কোথায় রাখছো—কইয়া যাও। ধূপ ধুনো জ্বালাইলে মশা যাবে।

মেয়েটা ডানা ছাড়া জলের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মাথা নিচু করে। দূরে। দুহাতে ডানাদুটো। রাসমোহন সাহা কেটে ফেলেছে।  চারিদিকে ভন ভন করে মশা উড়ছে। আর মেয়েটি বলছে—আহ-আহ--

৩.

এইভাবে পাখি সব রব করলে এরকম রাত্রিও পোহায়ে যায়। কাননে কুসুম কলি ফুটে ওঠে। সে কুসুম বড়মামার কপালে ছুইঁয়ে আজিমা বলছেন, যা বাবা, দুগ্গা দুগ্গা বলে রওনা কর।

রাতে মশার কামড়ে বড়মামার মুখ ফুলে গেছে। চোখে ঘোর। মামা বলে, ধূপের কী হইবে?

–হইবে বাবা। ধূপ হইবে। বেতন পাইলে তুই কিন্যা আনিস।

বড়মামা আজামশাইয়ের রিফু করা ছাতিটা বগলে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছেন। নারিকেলবাড়ি পেরিয়ে বটবাড়ি। তারপর নিজামকান্দি। পরের গ্রাম নিজড়া। নিজড়ার পরে জাঙ্গালিয়া। পাঠশালার বালকবৃন্দ বসেছিল গাছতলায়। মাস্টারমশাইকে দেখে উঠে দাঁড়াল। সালাম দিল। আজ তাদের মাস্টারমশাই আসেন নাই। তার ছেলে এসেছেন। ছেলে মাস্টারমশাই  তার বাবা বুড়ো মাস্টারমশাইয়ের মত একরকমভাবে বসে আছেন। বুকের কাছে রাখা হাত। মাথাটা সামান্য কাত। এখনই সামান্য কুঁজো। চক্ষু থরোথরো।  বালকবৃন্দ সুর করে বলতে শুরু করেছে—

এক এক্কে এক।

নয়ন মেলে দেখ।।

দুই দুগুনে চার।

জগৎ পরাবার।

তিন দুগুনে ছয়।

পরান জোড়া ভয়।।

এইখানে এসে বড়মামার ভয় ভয় করে। বাড়িতে আজিমা বসে আছেন। বড়মামা চাল আনবে। তেল আনবে। নুন আনবে। চল্লা থেকে বেগুন মরিচ তুলে রান্না হবে। পাঁচ ভাই—সাতবোনের পাত পড়বে। এর মধ্যে ধূপ কেনার পয়সা নাই। নিজেই ধূপের মত পুড়ছে।

জামতলায় ধূপের ধোঁয়ার মত সন্ধ্যা নেমেছে। মাঠের মধ্যে ধেড়ে ইঁদুর আকাশ পানে চেয়ে দেখছে। মেঘের কোল থেকে গলতে গলতে চাঁদ উঠেছে। সেই মেয়েটি জলের উপর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তাকে ফিরতে হবে মধুমতির পাড়ে। সোলাইমান ম্যানসনে। নীচে সল্লু দরজির সেলাইকলের খটখট শব্দ। আর রামু মুচির সট সট চামড়া কাটার গন্ধ। ধনা স্পেশাল পানের জন্য লোকজন ঘোরাফেরা করছে। তার বদলে এই পদ্মবিলার বিলে  শোনা যাচ্ছে, আহ-আহ। বড় মামার পকেটে অসমাপ্ত কবিতা বলছে, নাহ—নাহ–

বিলের জলে মশা। মশা ভন ভন করে। মশা ঘুরে ঘুরে কামড়ায়।

৪.

মামীর নাম রমা। কেষ্টপুরের মেয়ে। পদ্মবিলায় পদ্ম ফোটে। কেষ্টপুরে গাঁদা ফুল। রমা মামী এলেন হলুদ গাড়া ফুলের মালা গলায় দিয়ে। আজিমা মামীকে সকালে ধানদুব্বো দিয়ে বরণ করলেন। আর হাতে চাল ধোয়ার পাতিলটা তুলে দিয়ে বললেন, চিন্তা কইরো না গো মা। আমার রসো তুমারে সোনার বিছাহার কিন্যা দেবে।

এই বিছাহার কেনার কথাটি পদ্মবিলার লোকে পদ্মফুল তোলার সময় জানে। কেষ্টপুরের বটতলার হাটেও দূর দূর গাঁয়ের হাটুরেদের মধ্যেও কথা হয়। দেবাশুরের পিঠাবুড়ির মেলাও জানে। বারখাদিয়ার আচি খালও শুনতে পায়—রমামামীর গলায় বিছাহারটি আসবে। বিছা হারটি বড়মামা কিনে আনবে।

এই সুখে রমামামী তাজা তাজা পুঁটি মাছ কোটে। কচি ঢেঁড়শ দিয়ে তরকারী রাঁধে। কলমী শাক ভেজে রাখে। মামা ফিরলে এক ঘটি জল এগিয়ে দেয়। মামার পা থেকে জল গড়িয়ে গড়িয়ে নামে। মামীর পায়ে জল লাগে। জলে মামীর পা গলে যায়। জল বলে, আহা-আহা। সেই সুরে জলগলা পায়ে জোনাক পোকা জ্বলে ওঠে। এই জ্বলুনীর মধ্যেই মামী দাঁড়িয়ে আছে। আর মামীর মাথা থেকে লম্বা ঘোমটা পড়ে যায়। গলায় শিউলী ফুলের মালা।

শিউলী ফুলে ভর দিয়ে রাত্রি নামে। চাঁদ ওঠে। ধুপের গন্ধ জাগে। সেই মেয়েটি ঠোঁট চেপে ধরে পদ্মবিলার মাঠ থেকে নিরবে হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে তার পা-গলা জলের উপর চলে। হাতে ডানা দোলে। আমাদের ছোটো নদীটির পাড়ে সোলাইমান ম্যানশনের ছাঁদে গিয়ে নামে। নিচে সল্লু দর্জি খট খট করে সেলাইকল চালায়। রাম মুচি সট সট করে চামড়া কেটে কোলাপুরি চটি বানায়। ধনঞ্জয়ের ধনা স্পেশাল পানের দোকানের ঝাঁপ ওঠে। ভানুমতির যশোগান গাইতে গাইতে রাসমোহন সাহা বাঁকানো ছড়ি হাতে পরীগেট দিয়ে ভেতরে ঢোকেন। মামার দিকে হাত বাড়িয়ে বলেন, দেখি, কি লিখেছ হে?

ছাদ থেকে পরী নামে। বলে, আহা। আহা।

পরীটির হাতে আজ আমার বড়মামার কাঁপা কাঁপা হাত। আর হাওয়ায় ধুপের গন্ধ নয়—কবিতার গন্ধ ভাসে।

আজ বড়মামার কবিতাটি পুড়ছে। বাইরে জ্যোৎস্না।

( ২ সেপ্টেম্বর ২০১১, নিউইয়র্ক)

-------------------------------------------------------------------

লেখক পরিচিতি:

কুলদা রায়: জন্ম ১৯৬৫ খৃস্টাব্দ

কুলদা রায় কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। জন্ম বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) থেকে পড়াশোনা করেছেন। থাকেন আমেরিকার নিউইয়র্কে। কথাসাহিত্যের ওয়েবম্যাগ গল্পপাঠের প্রধান সম্পাদক।

প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ:মার্কেজের পুতুল ও অন্যান্য গল্প (২০২০); বৃষ্টি চিহ্নিত জল (২০১৫); কাঠপাতার ঘর (২০১৩); কাকমানুষের চকখড়ি (২০১০)। প্রবন্ধ গ্রন্থ: রবীন্দ্রনাথের জমিদারগিরি ও অন্যান্য বিতর্ক (২০১৫)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ