bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

পোস্টারের চল প্রায় উঠে গেছে-- জুয়েইরিযাহ মউ

যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন ম্যাসেঞ্জার। ম্যাসেঞ্জারে হাই, হ্যালো চলতে থাকে! কবি, কথাসাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী—কেউ বাদ পড়েন না। হাই, হ্যালো ছাড়িয়ে চ্যাটিং গড়াচ্ছে বিভিন্ন চিন্তামূলক আলাপে। সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে এমনই চিন্তামূলক চ্যাটিং আয়োজন--'হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার' (Half an hour chatting about culture) প্রকাশ করছেন। বলে রাখা ভালো, আমাদের বিগতকালের লেখক-বুদ্ধিজীবীগণের সংস্কৃতি বিষয়ক বহুবিধ ও বহুমাত্রিক চিন্তা তাঁদের রচিত গ্রন্থগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। তাঁদের সময়ের চিন্তার সাথে বর্তমান সময়ের লেখক-বুদ্ধিজীবীর চিন্তার তূলনামূলক এই পাঠ এক অতি বড় সুযোগ। আমরা মেহেদী উল্লাহ’র এমন উদ্যোগকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করি। তাই এটির সংকলন ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। গতিপথ বাংলা ওয়েবজিনের আলাপ-সিরিজে প্রতি রবিবার মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার এর একটি করে পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে।


আলাপ সিরিজ : মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার পর্ব-১০

মেহেদী উল্লাহ’র টাইমলাইন: শনিবার, ২৩ মে ২০২০; রাত ০৯ টা ৪৭ মিনিট

আজ থাকছেন লেখক ও ফিল্মমেকার জুয়েইরিযাহ মউ (Zuairijah Mou) সংস্কৃতি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে—

মেহেদী উল্লাহ : আপনার কাভার ফটোতে পোস্টারের দোকান দেখছি, ফুটপাতে; এটা কোথায়?
জুয়েইরিযাহ মউ : কলকাতায়।
মেউ : কবের ওটা?
জুয়েইরিযাহ মউ : নিউমার্কেটের সামনে কোন এক রাস্তা ছিল! ২০১৯, মার্চ এপ্রিল হবে।
মেউ : আচ্ছা। ওদের এমন পোস্টারের দোকানে কী ধরনের পোস্টার থাকে? কেমন পোস্টার পপুলার?
জুয়েইরিযাহ মউ : যা যা দেখছেন এরকম সব পোস্টার। মাদার তেরেসা, মধুবালা, গান্ধী, গণেশ... সব ইমেজ একসাথে এসে মিশে যায়... নানান ধরনের থাকে। কেউ কেবল ইমেজ চাইছে ধরুন। কেউ আবার কথা সহ ইমেজ। কেউ শুধু ভগবান চাইছে, এজন্য মিথোলজিক্যাল চরিত্ররা আসছে। আর কেউ চাইছে মহামানব তাই মানুষ ও দৃশ্যমান।
'পপুলারিটির' ব্যাপারটা বলা মুশকিল। তবে আমার ধারণা প্রতি পোস্টারেরই আলাদা আলাদা কাস্টমারের গ্রুপ তো আছেই!
মেউ : এমন তো আমাদের এখানেও আছে। যেকোনো বড় শহরের ফুটপাতে। ঢাকার শাহবাগেও দেখা যায়। আমাদের পোস্টারের সাথে ওদের পার্থক্য চোখে পড়ল?
জুয়েইরিযাহ মউ : হ্যাঁ। ওদের এই নিউমার্কেট এলাকার পোস্টারের দোকানের সবচে বড় বৈচিত্র্য হচ্ছে এক জায়গায় নানান ধরনের কাস্টমারের জন্য পোস্টার রাখা। আর আমাদের এখানে কাস্টমারের গ্রুপ / চয়েজ যেহেতু জায়গাভেদে কিছুটা আন্দাজ করা যায়, তাই পোস্টারের ধরন ভিন্ন হয়।
যেমন ধরুন, শাহবাগ মোড়ে বা আজিজে আপনি বব ডিলন, বব মার্লে, ঋত্বিক, সত্যজিৎ এর পোস্টার খুঁজে পাবেন বেশি। কিন্তু নিউমার্কেটে বেশি পাবেন গর্ভবতী মায়েদের টার্গেট করে হাস্যোজ্জ্বল শিশুমুখের পোস্টার। আবার পুরান ঢাকার দিকে গণেশ, কৃষ্ণ, সরস্বতীকে পাবেন বেশি। এরকম আর কী !
আবার আরেকটা কথা মনে পড়লো। দিল্লীর রাস্তা কিন্তু ভিন্ন।
ঐখানে বলিউড ছেয়ে আছে একদম 😀
মেউ : আচ্ছা। বেশ রমরমা?
জুয়েইরিযাহ মউ : রমরমা-র চেয়ে বেশি দিল্লি খুব ব্যবসায়িক চেহারা নিয়ে ধরা দিয়েছে আমার কাছে।
মেউ : মানে, বলিউডের নায়ক বেশি, না নায়িকা?
জুয়েইরিযাহ মউ : দিল্লি থেকে কলকাতা ভালো। ভালো বলতে নিরাপদ অন্তত নারীর জন্য। এরকম আমার মনে হয় আর কী! দিল্লির চেয়ে কলকাতায় ঘুরে আরাম!
মেউ : মানে, বলিউডের নায়ক বেশি, না নায়িকা?
জুয়েইরিযাহ মউ: সেরকম বেশি কম চোখে পড়েনি। ধরুন 'ফেস ভ্যালু' বলতে যা বুঝি আমরা সেটার একটা ডিমান্ড থাকে এসব পোস্টার বিক্রয়ে বা ক্রয়ে। known face গুলো থাকে 'নায়ক' হোক বা 'নায়িকা'।
মেউ : আচ্ছা। আমাদের দেশেও তো আমাদের চেয়ে ওদের ফেসের চাহিদা বেশি?
জুয়েইরিযাহ মউ : হ্যাঁ ওদের ইন্ড্রাস্টির প্রভাব আমাদের এখানে বেশি। তো চাহিদা বেশি তো হওয়ারই কথা 🙂
মেউ : আমাদের নায়ক নায়িকারদের কেউ আছে ওখানে? দেশেও তো নাই, আছে কেউ?
জুয়েইরিযাহ মউ : কোনখানে? পোস্টারে ?
মেউ : হ্যাঁ।
জুয়েইরিযাহ মউ : আপনার কি মনে হয় ? 🙂
মেউ : আমি তো নব্বইয়ের দশকের দিকে মফস্বলে দেখতাম, শাবানা, আলমগীর, রাজ্জাক, কবরী এদের পাওয়া যেত। এখন আর নাই। দেখি না কারো।
জুয়েইরিযাহ মউ : আমিও দেখি না। পোস্টারের চলটাও কেমন উঠে গেছে।
মেউ : এটার কারণ কি হতে পারে? এখন চাইলেই গুগলে বা মিডিয়ায় সবাইকে দেখা যায় সেজন্য, নাকি তাদের ফেস ভ্যালু কমে গেছে?
জুয়েইরিযাহ মউ : এখানে প্রসঙ্গ আসলে দু'টো। যাদের 'ফেস ভ্যালু' আছে তাদেরকেও মানুষ ফেসবুকে, টুইটারে, ইন্সটাগ্রামে দেখতে পাচ্ছে। শুধু দেখতে পাচ্ছে তাই নয়। তাদের পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ঘটনার ছবিও দেখতে পারছে আবার কমেন্ট ও করতে পারছে।
তো এসব একটা কারণ হতে পারে পোস্টারের চল কমে যাবার।। মানে যে মানুষকে 'স্টার' ভাবছেন কেউ তার সাথে আগে এতোটা সম্পৃক্ত তো হতে পারতেন না। এখন যেমনটা পারছেন কেউ।
মেউ : রাইট। সেই দূরত্ব সময় আর রাখে নাই। 'মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়' বিনয়ের কবিতার সূত্রধরে কি বলতে পারি সেজন্য সেলিব্রিটিদের সেই মাহাত্ম্য তৈরি হচ্ছে না, যেমন সৈয়দ হক বলেন, একবার পাইয়া গেলে মাটি হয় সোনার মোহর'—
জুয়েইরিযাহ মউ : মাহাত্ম্য তৈরির ব্যাপারটা সম্ভবত এর সাথে যুক্ত নয়। সময় বদলের সাথে সাথে যে বাস্তবতার তৈরি হয়, সেই বাস্তবতার ভেতর বসবাস করেও পৃথক মোহ মানুষের প্রতি মানুষের নিশ্চয় জন্মে। ধরুন এক কালে লেখা পড়ে, চলচ্চিত্র দেখে মানুষ প্রিয় লেখকদের, কুশীলবদের বা নির্মাতাকে চিঠি লিখতেন। আজ তারা মেইল বা ইনবক্সে বলতে পারছেন তার মানে কী এই যে সৃষ্টির প্রতি মোহটা ভিন্ন?
তবে হ্যাঁ fascination যা আগে যে রূপে ছিল (এখন চট করে সেই মানুষগুলোকে অনলাইনের জগতে খুঁজে পাওয়াতে) তা কিঞ্চিৎ কমে গেছে কী না এ নিয়ে আমরা যারা সময়ের দু'টো পর্ব দেখেছি তারা জীবদ্দশায় কিছু কথা বলতে পারি, এই আর কী 🙂 তবে দিন শেষে এসব অনুভূতি সম্পূর্ণই ব্যক্তিনির্ভর এবং অভিজ্ঞতানির্ভর ব্যাপার।
মেউ : আড়ালের প্রতি একটা আগ্রহ থাকে না! এখন ত সব প্রকাশিত!
জুয়েইরিযাহ মউ : হ্যাঁ তা থাকে। দূরের প্রতিও।
মেউ : আপনার ফিল্ম-লাইন কত দূর আগালো? লকডাউনের আগে কিছু বানাচ্ছিলেন? নবারুনের গল্প নিয়ে একটা কাজ করেছিলেন একবার বোধ হয়, ওইটার আউটপুট কী?
জুয়েইরিযাহ মউ : ফিল্ম-লাইন কতদূর আগালো তা জানি না 🙂 জানুয়ারি থেকেই টঙ-ঘর টকিজ এ শর্ট ফিল্মের অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে কাজ করছিলাম। সেটা করে যাচ্ছি আমরা এখনো।
হ্যাঁ ঐ চলচ্চিত্রের নাম ভয় - দ্য ফেয়ার অব সাইলেন্স। সেটা দু'টো এওয়ার্ড পেলো দিল্লি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব আর কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। কলকাতা, মুম্বাই, পুনে, দিল্লি, ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জায়গার চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হল।
' ভয় ' যেহেতু অনেক অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ এ নিয়ে আমাদের টিমের, আমার ব্যক্তিগত আলাদা এক ভালোলাগা তো আছেই। আউটপুটের কথা যদি বলেন এ চলচ্চিত্র আমাকে দুর্দান্ত এক টিম দিয়েছে, কাজ করার অনুপ্রেরণা এখনো দিয়ে যাচ্ছে। এটা আমার কাছে ইতিবাচক একটা ব্যাপার।
মেউ : বাহ্, অভিন্দন! টঙ-ঘর টকিজ এ শর্ট ফিল্মের অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন, ব্যাপারটা কেমন? প্রক্রিয়াটা কী?
জুয়েইরিযাহ মউ : ধন্যবাদ। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমরা টঙ ঘর টকিজ এর ‘টঙ শর্টস ২০২০’ সিরিজে ইরান, আফগানিস্তান, তাজাকিস্তান, তুরস্ক, ইউরোপ, মরক্কো, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, ইজিপ্ট সহ বিশ্বের নানান দেশ-শহর-জায়গার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের অনলাইন ডিস্ট্রিবিউশন শুরু করি টঙ-ঘর টকিজ-এর ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটে। এর মধ্য দিয়ে ওয়েবসাইট চালু হয়।
এরপর আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে চারটি আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রিলিজ দেই ‘Tong Women Shorts 2020’ তে। এখানে চার দেশের চারজন নির্মাতা যারা নারী, তাদের শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হয়।
তারপর আনিয়েস ভারদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের শিল্পী জিহান করিম এবং রাজীব দত্ত নির্মিত দু’টো এক্সপেরিমেন্টাল শর্ট ফিল্ম রিলিজ দিলাম ‘টঙ এক্সপেরিমেন্টাল শর্টস’ এর অংশ হিসেবে।
এখন এই আইসোলেশন সময়ে আমরা নতুন সিরিজ এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রিলিজ দিচ্ছি। এই সিরিজে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি একেবারেই নতুন চলচ্চিত্র যা এই সময়ে নির্মিত হচ্ছে সেগুলোর উপর। এই সিরিজ এর শিরোনাম 'টঙ আইসোলেশন ডায়েরি'। ইতোমধ্যে 'টঙ আইসোলেশন ডায়েরি' সিরিজ এ কলকাতার নির্মাতা জয়দীপ ব্যানার্জী এবং বাংলাদেশের শিল্পী মইনুল আলম, নির্মাতা আসমা বীথি-র চলচ্চিত্র রিলিজ পেয়েছে। সামনে আরও আসছে।
মেউ : আচ্ছা, বেশ। আমাদের টিভি ফিকশনের অবস্থা তো খুবই তা যা, বিশেষ করে গল্পটা, ঠাট্টা-মশকরার বাকসো হয়ে উঠেছে? আপনার কী মনে হয়?
জুয়েইরিযাহ মউ : ভালো কাজ একেবারেই হচ্ছে না তা নয়। তবে খুবই কম। এখন এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। নানান প্রতিবন্ধকতার কথা যেমন আসে তেমনি দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা অগ্রহণযোগ্যতা নিয়েও নানান তর্ক উঠে আসে।
মেউ : না, অনেকে দেখছেনও। জাতি মেনে নিলে আমার এত চিন্তার কিছু নাই। হয়ত, এই গল্পগুলোতেই তাদের পোষায়।
আপনি সেক্স ওয়ার্কারদের জন্য ফান্ডিং করছেন? তারা কেমন আছে? সাড়া কেমন?
জুয়েইরিযাহ মউ : হ্যাঁ আমি মানে আমরা। টঙ ঘর টকিজ থেকে করছি। একটা টিম আমরা। আমি গাঙিনাপাড় ব্রোথেলে অনেক বছর আগে কাজ করতে গিয়েছিলাম। এখন এই সংকটকালে হঠাৎ মনে হল উনারা কেমন আছেন কে জানে! যোগাযোগ করে জানলাম ভালো নেই। পরে মনে হল যদি উনারা নিজেরা নিজেদের কথা মোবাইলে ভিডিও করে পাঠান। যদি একটা ভিডিও বানিয়ে প্রচার করি এবং ফান্ড চাই। হয়তো তাহলে কিছু হলেও হতে পারে।
সাড়া পাচ্ছি মোটামুটি। কিন্তু আরও সাড়া পেলে ভালো হতো। উনাদের আর্থিক সহযোগিতা খুব দরকার।
মেউ : এই ব্রোথেল নিয়ে আমি কিছুই জানি না। এর ইতিহাস জানেন, নাকি?
জুয়েইরিযাহ মউ : না, আমি সম্পূর্ণ ইতিহাস জানি না। শুনেছি আগে আরও বিস্তৃত ছিল। এখন সংকীর্ণ এলাকাটা। শোনা কথা, নিশ্চিত নই কতটা সত্য।
মেউ : হ্যাঁ, জানতে হবে আমারও। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সময় দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন।
জুয়েইরিযাহ মউ : আপনিও ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন।
আর আপনার এই আড্ডাবাজির জন্য শুভ কামনা রইলো 🙂


ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ
অন্যপ্রান্তে: জুয়েইরিযাহ মউ, লেখক ও চলচ্চিত্রকার। জন্ম ১৯৮৮, ঢাকা। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: অস্তিত্বে কুহেলিকা কিংবা টুকরো টুকরো প্রাণের কথকতা (২০০৯)। কবিতাবই: তাসেরা বুকমার্ক (২০১৬)। 
ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ

লেখক পরিচিতি:
মেহেদী উল্লাহ জন্ম:১৯৮৯ সাল
মেহেদী উল্লাহ বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক। জন্মস্থান নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বেড়ে ওঠা চাঁদপুরের কচুয়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিরোধানের মুসাবিদা (২০১৪) তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। তিরোধানের মুসাবিদা গ্রন্থের পান্ডুলিপির জন্য তিনি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ অর্জন করেন। প্রকাশিত অন্যান্য গল্পগ্রন্থ: রিসতা (২০১৫), ফারিয়া মুরগীর বাচ্চা গলা টিপে টিপে মারে (২০১৬), জ্বাজ্জলিমান জুদা (২০১৭), অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগ (২০১৯)। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: গোসলের পুকুরসমূহ (২০১৮)। প্রবন্ধ গ্রন্থসমূহ: ফোকলোরের প্রথম পাঠ (২০১৫), ফোকলোর তত্ত্বপ্রয়োগচরিত (২০২০), লোকছড়া: আখ্যানতত্ত্বের আলোকে (২০২০), নজরুল বিষয়ক সংকলন চর্চার ধরন (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ