দারুচিনি গাছের ছালে আগুন ধরায় ফিনিক্স পাখি।
বহুদূর আকাশে উড়ে গিয়ে নিজের ঠোঁটে লাগানো আগুনে ঝাঁপ দেয়।
পুড়ে ছাই হয়।
ছাই ভস্ম থেকে জন্ম নেয়౼
ঝলমলে রূপ-রঙে অপরূপ মিশ্রিত নূতন এক ফিনিক্স পাখির জাতকসন্তান
বিস্ময়ে জন্মের সাথে সাথে ঈশানকোণে আকাশে উড়ে যায়।
অচেনা অজানা মনোরম মোক্ষম পরিবেশে থাকে বহুকাল।
মৃত্যু আর শিশু জন্ম দেয়ার সময় হলেই তারা শুধু নেমে আসে পৃথিবীর অনল-কুণ্ডলে।
সামান্য নয়, এই পঙ্খি যুগে যুগে পুনরুত্থানের প্রতীকে উদীয়মান।
আদি ও নতুন সব সভ্যতায় পাওয়া যায় তার বিবিধ গল্প ও পুরাণ।
ঘনলাল পা-বিশিষ্ট বাহারি রংয়ের মিশেলে রাঙা এই আদি-পাখি
যখন আসমানে উড়ে গিয়ে আকাশবীণার সুরে মধুরতম সুরেলা কণ্ঠে ধরে গান
অমিয়মধুর গানের সুর-ঝংকারে জগৎ তখন দুলতে থাকে অবিরাম।
লোরেল পাতার মুকুটপরা শান্তিকামী রাজাদের সমবেত প্রার্থনাস্বরে
অথবা হতে পারে ঈষৎ বিমোহিত দেবতা অ্যাপোলোর বরে
ফিনিক্স পাখির কণ্ঠচিরে আশ্চর্য সুরের মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে দিগ্-বিদিকে।
শান্ত পৃথিবীর গাছে গাছে অজস্র বাতাসের কাঁপন যেমন লাগে౼
ফুল-পাতারাও কেমন আশ্চর্য বর্ণিল রঙে বিকশিত হতে থাকে౼
আচমকা ধরণীতে হাজার হাজার ফুল আনন্দ-উচ্ছাস নিয়ে ফোটে।
আর অদৈব সব ষড়যন্ত্র, মারণাস্ত্র, ড্রোন-বোমার খোসা-ভস্ম থেকে
ক্ষণে ক্ষণে জন্ম নিতে থাকে
জগতের মশীহ একেকটি যিশু౼ ভূমধ্যসাগরতীরের প্রতিটি ফিলিস্তিনি শিশু।
1 মন্তব্যসমূহ
মনরোম লাগল ভাই। আরও লিখুন
উত্তরমুছুন