bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

শফিক আশরাফের জানালা ꘡ আমাদের ভুটানযাত্রা ꘡ পর্ব-৫



আমাদের ভুটানযাত্রা [পর্ব-৫]

রৌদ্রকরোজ্জল ঝকঝকে একটা দিন। আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা বেশ অবাক হয়ে গেলাম। এখানে আকাশ এত নীল কেন! এত নীলাকাশ আগে কখনো দেখিনি। চারদিকে যেমন নিপাট, পরিপাটি, পরিচ্ছন্ন তেমনি মানুষগুলো স্বাস্থ্যবান তরতাজা। দোকানপাটগুলো খুলেছে। সেদিকে তাকিয়ে আরো অবাক হওয়ার মতো দৃশ্য। হোটেল, রেস্তোরাঁ চালাচ্ছে নারীরা, সব্জি, ফলের দোকান থেকে শুরু করে মুদি দোকান পর্যন্ত মেয়েরা বিক্রিবাট্টা করছে। তারা আবার দেখতে ফর্সা, পতুলের মতো ফুটফুটে। মনে হয় নারীরাজ্যে চলে এসেছি। নারীরাজ্য না বলে, পরীরাজ্য বললেই হয়! আমাদের পাশ দিয়ে পরীর মতো একটা মেয়েকে হেঁটে যেতে দেখে স্বননকে মজা করে বললাম:
- এটা হলো পরীরাজ্য! এই রাজ্যের রাজকন্যাকে বিয়ে করবি? তাহলে আমরা ছেলের শ্বশুরবাড়ি মাঝে মাঝে বেড়াতে আসতে পারবো! স্বনন খানিকটা রেগে বলে,
- তুমিই বিয়ে করো, আমার দরকার নাই! আমি ওর মায়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলি,
- আমি তো একটা পরীকে বিয়ে করেছি! আমারও আর দরকার নাই। তোর রাজকন্যা বিয়ে করার অনেকদিনের শখ তাই বলছিলাম আর কি!
- যাও, বলে স্বনন আমার পিঠে দুমাদুম দুটো মারলো। 
ওকে ঠান্ডা করার জন্যে আমরা রাস্তার ধারের একটা দোকান থেকে চিপস, চকলেট ও ফান্টা কিনলাম। দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে দেখলাম, তাদের দেখেই আমার সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত উক্তিটির কথা মনে হলো--‘মনুষ্য বৃদ্ধ না হইলে সুন্দর হয় না।’ আহা! যেন স্বর্গের দেব-দেবী মর্ত্য! সেই সুন্দর, সৌম বৃদ্ধ দম্পতিকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে চিলড্রেন পার্কটা কোথায়?
তারা নিচে দেখালো। আমরা পাহাড়ের কোল বেয়ে চলা পাকা রাস্তা ধরে নিচে নামতে লাগলাম। মাঝে একটা বড় রাস্তা পড়লো। অনেক ট্যাক্সি যাতায়াত করছে।
চিলড্রেন’স পার্ক, থিম্পু
কোথাও কোন ট্রাফিক পুলিশ নেই। আমরা বড় রাস্তার পাশে দাঁড়াতেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম রাস্তার দুপাশে ট্যাক্সিগুলো হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেল। আমরা কী করবো ভাবতে একটু সময় নিতেই এক ট্যাক্সিওয়ালা গাড়ি থেকে মাথা বের করে আমাদের রাস্তা পার হতে ইশারা করলো। আমরা বিস্ময় নিয়ে রাস্তা পার হতেই দেখি গাড়িগুলো আবার আগের মতো চলা শুরু করেছে। আমরা এতক্ষণে বুঝতে পারলাম, গাড়িগুলো আমাদের রাস্তা পারাপারের জন্যেই দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যাপারটা দেখে খুশিতে আইরিনের মুখ উজ্জ্বল। কারণ রাস্তা পার হতে আইরিনের দুনিয়ার ভয়! কোনদিনই ঠিক মতো রাস্তা পার হতে পারে না। রংপুর শহরের রাস্তায় হয়তো স্বননের হাত ধরে আমি পার হচ্ছি আর বুনন আমার সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছে, এপারে এসে দেখি আইরিন ওপারে তখনো দাঁড়িয়ে আছে। অনেকবার দু’বাচ্চাকে এপারে রেখে আইরিনকে আনার জন্যে আমাকে আবার ওর কাছে যেতে হয়েছে। আমাকে আনতে যেতে দেখে অনেকদিন রাগে গজগজ করে শিশুর মতো মুখ করে বলেছে, ‘আমাকে রেখে তোমরা চলে গেলে ক্যান? যাও, আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো না।’ অর্থাৎ রাস্তা পার হতে না পারাটা রাগে প্রকাশ হয়েছে!
সুদূর ভুটানের রাস্তায় আমাদের দেখে গাড়িগুলো থেমে যাওয়াটা এজন্যেই আইরিনের জন্যে অভূতপূর্ব। ওর সারাজীবনে ঠিকমতো রাস্তা পারাপার না হওয়ার দুঃখটাতে ভুটানিরা প্রলেপ দিয়ে দিল।
রাস্তঘাটে গাড়িগুলো চলছে অনেকটা নিঃশব্দে, কোন হর্ন নেই, হৈচৈ, চেঁচামেচি নেই। মেইন রোডের পাশে দাঁড়িয়ে পাখির গান শোনা যায়। আমরা নিচে পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেক বড় পার্ক। নির্জন, ছিমছাম। প্রচুর গাছপালা ও নানারঙের ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে পার্কটা। পার্কের পাশ দিয়েই ছলছল শব্দে বয়ে চলেছে একটা বরফগলা নদী। নদীর কোল ঘেঁষে কোথাও কোথাও রেলিং দিয়ে ঘিরে বারান্দার মতো বানানো, যাতে নদীর সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করা যায়। জায়গায় জায়গায় গাছের নিচে লোহার বেঞ্চিপাতা। আমরা নদীর কোলঘেঁষা রেলিংঘেরা একটা জায়গা বেছে খানিকটা বসলাম। একটু দূরে তিনটা ভুটানি তরুণী আড্ডা দিচ্ছে। আমরা মোবাইলে ফটো তুলছি, কিন্তু সমস্যা হলো ছবিতে সবসময় একজন বাদ পড়ে যাচ্ছি। স্বননকে বললাম:
- তোর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে কি একটু বলবি আমাদের চারজনকে একসঙ্গে দু একটা ফটো তুলে দিতে। স্বনন কি মনে করে, দৌড়ে তরুণীদের কাছে গিয়ে কি যেন বললো, আমরা শুধু তার গলায় শুনতে পেলাম, ‘ফটো খিছলিয়ে’ জাতীয় কিছু একটা বলছে। হাসতে হাসতে এক তরুণী উঠে এসে আমাদের ফটো তুলে দিলো।
ন্যাশনাল পার্কে অপরিচিত ভুটানি তরুণীর তোলা ছবিতে
শুধু ফটো তুলেই দিল না, আমাকে কোন কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ না দিয়ে, ফটো তুলে উল্টো আমাদের ধন্যবাদ দিলো এবং জিজ্ঞাসা করলো, আরো ফটো তুলে দিতে হবে কি না? এরকম ভদ্র বিনয়ী জাতি আমরা আগে কখনো দেখিনি। পার্কের মাঝে বেশ বড় পদ্মফুলের উপর দাঁড়ানো একটা বৌদ্ধমূর্তি। মূর্তির সামনে পরিচ্ছন্ন খোলামেলা বেদি। বেদির দু’পাশে আবার ড্রাগনের মূর্তি। জীবনে যত বুদ্ধমূর্তি দেখেছি সব ধ্যানস্থ অবস্থায় বসা কিংবা আধশোয়া। এখানে প্রথম বুদ্ধের দাঁড়ানো মূর্তি দেখলাম। সনাতন বিশ্বাসমতে পদ্মফুল পবিত্রতা ও সৌন্দর্যের প্রতীক আর গণেশের হাতে পদ্ম মানে সেটা, সুখের প্রতীক। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করে প্রষ্ফূটিত পদ্ম মানে একটি নতুন যুগের সূচনা। পদ্মের উপর দাঁড়ানো বুদ্ধকে দেখে মনে হলো- বুদ্ধ পদ্মবাহনে চড়ে একটি নতুন যুগ নিয়ে ভুটানে হাজির হয়েছেন। এখানে ভুটানের ইতিহাস খানিকটা মনে পড়ে গেল।
ন্যাশনাল পার্কে বুদ্ধমূর্তির সামনে আইরিন
ভুটানের মাতৃভাষা জংকা। আর জংকা ভাষায় ভুটানের নাম ড্রুক যার অর্থ বজ্র ড্রাগন। ভুটানের বিমানের নাম ড্রুক, এখানে একধরনের বিয়ার পাওয়া যায়, সেটার নাম ড্রুক। ভুটান কথাটির অর্থই ভূ-উত্থান বা উঁচুভূমি। ভুটানের ওপাশেই চীনের তিব্বত। আমাদের মুন্সিগঞ্জের মানুষ, উপমহাদেশখ্যাত প্রাচীন পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর ৭ম শতকে তীব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেন। সেই সময়েই ভুটানেও বৌদ্ধধর্ম প্রসার লাভ করে। বৌদ্ধরা আসার আগে এখানে বনধর্ম চর্চা চলতো। ভুটানে পাওয়া নিওলিথিক উপকরণ থেকে জানা যায় এখানে ১১০০০ বছর আগেও তারা বসবাস করতো এবং ভুটান কেউ কখনো জয় করতে পারেনি বা বলা যায় এশিয়া থেকে পুরোসময় জনবিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও গাছপালার হাজার হাজার প্রজাতির এক অন্যান্য অভয়আশ্রম হিসেবেই দেশটি টিকে আছে। বনজঙ্গলের বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা-অর্চনা করেই তাদের দিন কাটতো। এরপরে তিব্বত থেকে আসে পদ্মসম্ভাবা বা গুরু লিমপোচে বৌদ্ধধর্ম নিয়ে, তিনি এসে আট শ্রেণির দেবতাকে বশে এনে, তাদের রাজাদের ধর্মান্তরিত করে তিব্বতে ফিরে যান। এরপর থেকেই ভুটানিরা বৌদ্ধিস্ট। আর বুদ্ধধর্ম আসার পরেই এখানে নতুন যুগের সূচনা হয়। কাজেই ফুটন্ত পদ্মে চড়ে বুদ্ধের আগমন রূপক অর্থে নতুন যুগের আগমন। ভুটানের আকার আকৃতি ও পার্বত্য-ভূপ্রকৃতির গঠন সুইজারল্যান্ডের মতো বলে একে এশিয়ার সুইজারল্যান্ডও বলা হয়।
বুনন-স্বননের সঙ্গে বুদ্ধমূর্তির কাছেই 

আমরা দুপুর অবধি ন্যাশনাল পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভেতর কাটিয়ে এক প্রশান্তচিত্ত নিয়ে উপরে উঠা শুরু করলাম। ভুটানে সত্তরভাগ বনভূমি থাকায় বাতাসে প্রচুর অক্সিজেন। নিঃশ্বাস নিলে মূহুর্তেই বুকটা নির্মল বাতাসে ভরে উঠে। শীত এলে এমনিতেই আমার এলার্জির সমস্যা ও শ্বাসকষ্ট খানিকটা বাড়ে। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম খাড়া পাহাড়ের রাস্তা ধরে উপরে উঠতে যে পরিমাণ কষ্ট ও শ্বাসকষ্ট হওয়ার কথা তার কোনটিই হচ্ছে না। আর যেহেতু বাতাসে ধুলাবালি নেই কাজেই এলার্জির কোন সমস্যাও নেই। আমরা হোটেল রুমে এসে গরম পানিতে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে খেতে ঢুকলাম। রেস্টুরেন্টটা আমাদের দেশের মতো আলো আধারিতে আচ্ছন্ন নয়। জানালার পর্দা সরানো, প্রচুর আলো এসে পরিবেশটা অন্যরকম করে রেখেছে। রেস্টুরেন্টা ফাঁকা। একটু দূরের টেবিলে তিনজন বিদেশি লাঞ্চের পর মদের বোতল নিয়ে বসেছে। স্বনন বারেবারে সেদিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করছে:
- ওগুলো ওরা কী খায় বাবা? আমি বললাম,
- মদ খায় বাবা। স্বনন বিস্মিত হয়ে বললো,
- মুত খায়, আ ছিঃ! 
- মুত না, মদ! খেলে নেশা হয়।
- ও আচ্ছা, বলে স্বনন ঘুরে তাকিয়ে মদ খাওয়া দেখলো।
আমরা কিশোরীমতন এক ওয়েটার ডেকে থাইস্যুপ, ফ্রেন্জফ্রাই, ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, ভেজিটেবল ও ড্রিংকস অর্ডার করলাম। অর্ডার করার একটু পরেই দেখি একটা টি পটে একপট টি নিয়ে হাজির। আমি অবাক হয়ে বললাম:
- আমরা তো কোন চা অর্ডার করিনি! চা কেন? মেয়েটি মুচকি হেসে বললো,
- আপনাদের লাঞ্চ রেডি করতে কিছুটা দেরি হবে, এটা জেসমিন চা, আমাদের রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে ফ্রি। দারুণ সুগন্ধযুক্ত জেসমিন টি আমাদের খুবই ভালো লাগলো। বুনন, স্বনন ওরাও চেখে দেখলো। আমি স্বননকে মজা করে বললাম,
- একটা বিয়ার আনাবো নাকি! মারবি? স্বনন রাগের ভান করে বললো,
- ওটা তো মুত, তুমি ওটা খেলে আমি সবাইকে বলে দেব।
- আমি তো একা খাবো না, তুই খাবি, তোর মা খাবে, বুনন খাবে। বুনন বলে উঠলো,
- আমি খাবো না বাবা। স্বননও সঙ্গে সঙ্গে সুর মিলিয়ে বললো,
- আমিও না। এই প্রথম দুজনে কোন একটা বিষয়ে এত দ্রুত একমত হলো। আমি বললাম,
- ঠিকাছে, যদিও ওটা মদ না, ওটা বিয়ার, ওষুধের মতো। তোরা যখন রাজি না তাইলে ফ্রায়েড রাইসই নরমাল ড্রিংকস দিয়ে মারি। আমাদের টেবিলে প্লেট চামচের সঙ্গে চপস্টিক দিয়ে গেল। স্বনন, বুনন দুজনেরই চপস্টিকের দিকে আগ্রহ। স্বনন আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,
- এই কাঠি কেন দিলো বাবা! বলেই চপস্টিক দিয়ে বুননকে একটা খোঁচা মেরে বললো, মারামারি করার জন্যে এটা দিয়েছে না?
- না খবরদার, মারামারি করার জন্য এটা না। এটার নাম চপস্টিক। চায়নার মানুষ এটা দিয়ে খাবার খায়।
- কাঠি দিয়ে আবার কীভাবে খাবার খায়!
ভুটানের চাইনিজ রেস্টুরেন্টে
- আমিও ঠিক জানি না এটা দিয়ে কীভাবে খায়! তবে ওরা সাপ, কেঁচো খায় তো, কাঠি দিয়ে সম্ভবত পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে খায়। আমার মনগড়া ব্যাখ্যার চেয়ে কাঠি দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতেই ওদের ভালো লাগছে। দু’জনে টেবিলের উপর দিয়েই ঠকাস ঠকাস যুদ্ধ শুরু করলো। আইরিন চোখ গরম করে তাকাতে ওদের দুজনের যুদ্ধ থামলো। আইরিন বললো,
- মানসম্মান, ইজ্জত রাখলো না দেখছি! সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে আমাদের দেখছে! আমি বাচ্চাদের পক্ষ নিয়ে বললাম,
- কাঠি দিয়ে খাওয়া যখন জানিই না, তখন সেটা দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাই ভালো। একথা শুনেই আইরিন বাচ্চাদের হাত থেকে দ্রুত কাঠি কেড়ে নিলো, যাতে ওরা আবার শুরু করতে না পারে। 
আমাদের অর্ডার করা খাবারের সঙ্গে কয়েক প্রকারের টকঝাল আচার সরবরাহ এলো। এদের চাইনিজ রান্নাটা খেতে দারুণ। আমরা খাবারটা বেশ উপভোগ করলাম।



শফিক আশরাফ। জন্ম: ৬ আগস্ট ১৯৭১

শফিক আশরাফ গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। জন্মস্থান টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার অন্তর্ভুক্ত সিঙ্গাইর গ্রামে। বর্তমানে রংপুরে বসবাস করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন লিটলম্যাগে লেখালেখির শুরু। ২০০০ সালে তিনি ও বন্ধু কবি শামীম নওরোজ এবং ফারুক আকন্দ মিলে অন্যতম ছোটকাগজ ‘চিহ্ন’ প্রথম বের করেন। পরবর্তী সময়ে ‘চিহ্ন’ সম্পাদক এবং আরো পরে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শিমুল মাহমুদ সম্পাদিত ছোটকাগজ ‘কারুজ’ এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ছোটকাগজ অন্বীক্ষা, লোকপত্র, মাটি, প্রকৃতি -তে তিনি নিয়মিত লিখেছেন।

তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘নহর আলীর মা’ (১৯৯৯)। দীর্ঘ সময়ে তিনি বেশকিছু গল্প লিখেছেন।চন্দন আনোয়ার সম্পাদিত গল্প পঞ্চাশৎ, রাশেদ রহমান সম্পাদিত এই সময়ের নির্বাচিত ছোটগল্প প্রভৃতি সংকলনে তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁতি সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পাউঠি’র খসড়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ ‘পাগল অথবা প্রত্যাশিত মৃত্যু’।   

প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: বাংলাদেশের গ্রাম ভিত্তিক ছোটগল্পে জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি ১৯৪৭-২০০০ (প্রকাশকাল ২০১৩); প্রবন্ধ-গ্রন্থ: সিনেমা ও সাহিত্য প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ