bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

পাঠশালা বন্ধের একখণ্ড অসমর্থিত রিপোর্ট



মামুন হুসাইন ।।

মাহমুদুল হককে তার নিক নেমে যাঁরা চিনতেন, এখনও তাঁদের কাউকে কাউকে আমাদের মেট্রোপলিটন শহরে নিরাপদ তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় হেঁটে যেতে দেখি। অনেক আগে তিনি আজিমপুরে ছিলেন, এলিফ্যান্ট রোডে ছিলেন, জিগাতলায় ছিলেনআর এসব রাস্তায় এতবার হেঁটে গেছি, কিন্তু যে বন্ধুরা সাহস করে ওঁর ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁদের কোনভাবেই আমার সোশ্যাল-ফোবিক দেহ নাগাল পায়নি সেদিন। এতদিন পর বন্ধুদের লেখা বইয়ের ভেতর ওঁর বাড়ির অপরূপ খাদ্যসামগ্রীর আভাস পাই। বন্ধুরা ওঁর বৈঠকখানায় চা পানের কথা লিখেছেন, লিখেছেন ঘরবাড়ির কথা আর লিখেছেন মাহমুদুল হকের অপরূপ এক শৈশবের কথা। দেখি মাহমুদুল হক সোনার দরদাম ভাল বুঝতে পারেন, সঠিক পাথর চিনতে পারেন এবং ফাঁকে-ফাঁকে গল্প-উপন্যাস তৈরির এক মহামায়ায় জড়িয়ে গেছেন সবার অজান্তে। আর এই মায়াজালে বাংলাভাষাভাষী বিপুল জনগোষ্ঠী মাহমুদুল হক নামক একটি পাঠশালার শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তীব্র গোপন কোন প্ররোচণা ছাড়াই। ফলে জিগাতলা, আজিমপুর বা এলিফ্যান্ট রোডের আলো-আঁধার ঘরের ভেতর বন্ধুদের গল্পগাছায় একখণ্ড ভারতবর্ষ এসে দ্রুত বিস্তৃত হতে শুরু করে। অথবা সেই খেলাঘরের মানুষেরা নিরাপদ তন্দ্রার ভেতর তখন কোথাও একটি মাটির জাহাজের চলাচল লক্ষ্য করে। কিম্বা দেখি ঘরের পেছনে গভীর একখ- কালো বরফ অথবা বিপুল এক প্রেতপুরী। ভয়-ভয় সেই প্রেতপুরীতে ডুব দিয়ে দেখা যায় মাহমুদুল হকের পরিত্যক্ত ভিটে বাড়ির ছায়া : আত্মার অন্যত্র বিসর্জিত হওয়া একদা বারাসত এবং সামান্য দূরে গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়ি। দেখা যায়, ঝড়ে উপড়ানো একটি আমগাছ কাটা চলছে বছরের পর বছর। আমরা তখন দাদপুর, কদম্বগাছি অথবা বসিরহাট নামক একটি জায়গার সন্ধান পাই। সন্ধান পাই চোখে পাথর বসানো হীরালাল নামক এক গোমস্তার। গোমস্তার মুখে আমরা গানবাদ্যের সংবাদ নিই। সংবাদ আসে ওঁর স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের। সংবাদ আসে এসিডে অকালমৃত দুই ভাইয়ের অযাচিত লাশ হওয়ার প্রস্তুতিপর্ব সম্পর্কে। আর সংবাদ আসে ভিটেমাটি বিলীন হয়ে সাতচল্লিশের রক্তাক্ত দেশভাগ এবং দাঙ্গার নেপথ্য কাহিনি নিয়ে।
এই পর্বে মাহমুদুল হক মাই সিস্টার, লাইফএই ইংরেজি নামটি বাংলায় কী ভেবে একদিন অনুবাদ করলেন, জীবন আমার বোন! বললেন, ‘জীবন আমার বোনের খোকা একজন অবিশ্বাসী তরুণ কবি ...।’ আমরা এই অবিশ্বাসী কবির হাত ধরে মাহমুদুল হকের ওয়েস্ট এ্যান্ড হাইস্কুল হয়ে জগন্নাথ কলেজের কমনরুমে ঢুকে পড়ি। ব্যাপটিস্ট মিশনের হোস্টেলে তাঁকে কখনও রাত কাটাতে দেখা যায়। দেখা যায় তাঁকে বাটার-টোস্ট হাতে শরীফ মিয়ার ক্যান্টিন, জিন্নাহ এভিনিউ’এর রেক্স, বাংলাবাজারের বিউটি বোর্ডিং অথবা চিত্তরঞ্জন এভিন্যুর রিভারভিউ ক্যাফে। এই সব আড্ডায় তিনি শরৎচন্দ্র, আ.ন.ম বজলুর রশীদ, ওয়ালিউল্লাহ, ভাদুড়ি, জগদীশ গুপ্ত, মীজানুর রহমান, শহীদ সাবের, কায়েস আহমেদ, কমল কুমার, ইলিয়াস, শহীদ কাদ, মান্নান সৈয়দ, জীবনানন্দ, মাল্যবান, হায়াৎ মামুদ, মানিক বন্দোপাধ্যায়, নষ্টনীড়, শামসুর রাহমান, শ্যামল গাঙ্গুলী, মুনীর চৌধুরী ও আল মাহমুদ সম্পর্কে আলোচনা করার পথঘাট আবিষ্কার করেন। আমরা এই পথ ধরে হাঁটতে-হাঁটতে তিরতিরে পুকুরের কাছে থমকে দাঁড়াই... সেই আশ্চর্য শান্ত তিরতিরে পুকুর যার গভীর গোপন তলদেশে চিরকালের মতো ঘুমিয়ে আছে অঞ্জু আর মঞ্জু। আমরা বুঝতে পারি না  অচৈতন্যপ্রায় রঞ্জুকে গাছতলায় শতরঞ্জির উপর ফেলে প্রাণঘাতী গুলি বৃষ্টির ভেতর, হাজার হাজার নরনারীর মত আমরাও কি উর্দ্বশ্বাসে ছুটে পালিয়েছিলাম?
তক্ষুণি জবাব না পেয়ে, মাহমুদুল হক পাঠশালার ছাত্ররা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, অথবা ছোট-ছোট দলে ভাগ হয়ে মাহমুদুল হকের সঙ্গে এলোমেলো পথ হাঁটতে থাকে। বিদগ্ধ বন্ধুরা মাহমুদুলের ভাষা, জীবন, নন্দনতত্ত্ব, এ্যান্টিক্লাইম্যাক্স এবং শৈল্পিক সংবেদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ পাঠ করেন। আর অল্প নম্বরের বন্ধুরা, কম ভাল ছাত্র বন্ধুরা তখন মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর পৌঁছানোর লঞ্চে ওঠে এবং ঘিয়ে ভাজা শিঙাড়াকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বস্তু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তারা জয়নালকে দেখে এবং ঘাটের কাছে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্প দেখে। তাদের কেউ লঞ্চ থেকে নেমে ফকিরচাঁদ সর্দারের বস্তি অথবা করাতিটোলার বস্তি, কিম্বা মোগলটুলি যায় ইদ্রিস কম্পোজিটরের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাদের কেউ জুয়ায় বসে এবং মেয়েমানুষ ও তেলেভাজা নিয়ে হৈ হল্লা-রংবাজি করে। তারা এক চোখ কানা হাবুল গুণ্ডাকে দেখতে পায় কাঞ্চনের সঙ্গে, অথবা হাবুল এবং কাঞ্চনকে সর্বদা একত্রে দেখে চাঁদ সর্দারের নির্দেশে। তাদের দেখা হয় জলেশ্বর মাঝির সাথে, যে সারারাত একা-একা নদীর সঙ্গে কথা বলে। একা কথা বলা মানুষকে দেখে তখন আমাদের ভয় হয়। ভয় এড়াতে আমরা সুধাময়ীর ঘরের দিকে হাঁটতে থাকি। অঘোরনাথের ছোট ঘরটিতে ঝিঁমুনির মত চেহারা করে বসে আছে আমিনুল। এরা বেশি মরিচ ছড়িয়ে ডিম মামলেট করার আয়োজন নেয় অঘোরের ঘরে। ডিম পোড়ার গন্ধে ডুবে যেতে-যেতে কেউ যায় মেথরপট্টিতে এবং স্টেনগান হাতে সেখানে কাউকে আবিষ্কার করে। আমিনুল মরিয়া হয়ে ভেতরে-ভেতরে ফোঁসে। সে একবার রানুর ছবি মাথায় আনে, আর ভেতর থেকে ধমকের মত স্বর হয়দেশ-দেশ করে মাথা খারাপ করো কেন, খামোকা না! কিসের সম্পর্ক তোমার দেশের সঙ্গে? ... অনু তখন পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে আমাদের সাথে ব্রিং খেলছিল। অনু জিগ্যেস করে - সরুদাসীদের ঘর চেনো? আমরা মাথা নাড়ি, আর হেঁটে-হেঁটে মাঝিপাড়ার দিকে যাই। কোথাও মিয়াচাঁন তখন গান জুড়েছে... ঘোড়ে কা মুত পি লিয়া বেরানভি সমঝকে, হায় হায় বেরানভি সমঝকে। মিয়াচাঁদের গান মিলিয়ে গেলে অনুর কাছে আমরা চা’এর জন্মবৃত্তান্ত শুনতে-শুনতে গণিতশাস্ত্রের বিনয় মজুমদার পাঠ করি মাস্টার মশাইয়ের নির্দেশেস্বপ্নের আঁধার, তুমি ভেবে দ্যাখো, অধিকৃত দুজন যমজ যদিও হুবহু এক, তবু বহুকাল ধরে সান্নিধ্যে থাকায় তাদের পৃথকভাবে চেনা যায়, মানুষেরা চেনায় সক্ষম। ...
অনুর পাঠশালা কিম্বা একটি মাহমুদুল হক পাঠশালার দুর্বল ব্যাকবেঞ্চার হওয়ায় সেদিন বিনয় মজুমদারের অনুষঙ্গ সহসা বুঝতে পারি না। তখন বটু ভাই বলেনসবকিছুই একটা স্বপ্ন। স্বপ্নের ভিতরে আমরা জন্মাই, স্বপ্নের ভিতরে আমরা চিৎকার করে উঠি, ঝনঝন ভেঙে যায় সব কাঁচ, তিরতির করে কেঁপে উঠে দুধের সর, কৌমার্যের পাতলা পর্দা। স্বপ্নের ভিতরে আমরা স্তন্যপান করি, স্বপ্নের ভিতরে আমরা শিল কুড়াই, স্বপ্নের ভিতরে আমরা বকুল ফুলের মালা গাঁথি, স্বপ্নের ভিতরে অঞ্জু পুকুরে পড়ে যায়, স্বপ্নের ভিতরে মঞ্জু তাকে ধরতে যায় ...।
স্বপ্নরাজ্যে ডুবতে-ডুবতে অনুর পাঠশালা থেকে কেউ আমাদের রাষ্ট্রের স্বরূপ নিয়ে এবার তীব্র ঝাঁঝালো বক্তব্য ছড়ায়প্রগতিশীল অথবা বামপন্থী গণ্যমান্যদের অনেকেই এখন ইন্টারকনের লোলুপ নিভৃতে বসে কাটিশার্কব্যালেন্টাইনের মাহাত্ম্যের প্রসঙ্গে দূর থেকে নমস্কার করে স্কটল্যান্ডকে। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, পুঁজি, মুনাফা, শ্রেণিসংগ্রাম, রিয়েলিটি, গণতন্ত্রের গ্যাঁড়াকল, নিও হ-য, আলট্রা ব-র-ল, এসবও যথারীতি মোচড় মেড়ে স্থান পায়, এবং পিঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো অতিসহজে সিল্ক খুলে ফেলে মেয়েদের-রাত যখন গভীর হয় কিংবা দিন যখন রাত্রিকালের গভীরতম প্রদেশ বলে ভ্রম হয়; অর্থাৎ বামপন্থী হওয়াই সব কথার শেষ কথা। ...এই ক্রোধ-বিবমিষা, এমনকি তিনি সাহিত্যের জগতেও আবিষ্কার করতে সমর্থ হন দ্রুতদ্যাখো, ...আমি এই জগৎটির সঙ্গে এতো গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলাম যে, বহু লেখকের হাঁড়ির খবর আমার জানা হয়ে গিয়েছিল। মানুষ হিসেবে যে এঁরা কতোটা অসৎ, ভণ্ড, বদমাশ হতে পারে তা আমি দেখেছি।
আমরা জিজ্ঞাস্য হইঅনুর পাঠশলা কী তবে তিনি এইসব জমে ওঠা অভিমানে-ক্ষোভে-ক্রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলেন? নাকি ‘জীবন’ নামক মহাশয়কে বোন কল্পনা করার পরেও কেউ তাঁকে ভাবতে বাধ্য করেছিল... আর লিখো না, দলামোচড়া করে ছুঁড়ে দিও না খাটের তলায়। অনেক লিখেছো, অনেক ধ্বংস করেছো, ঢের হয়েছে, এখন তোমার খেলা বন্ধ করো, খোকা ভাই আমার, চেয়ে দ্যাখো কি ক্লান্তি! কি বিতৃষ্ণা! লক্ষ্য করি মাহমুদুল হক ততদিনে এই ক্লান্তির অনুভূতিকে আরও বিস্তৃত করতে শুরু করেছেন... লিখতে লিখতে একসময় একঘেঁয়েমিতে ভুগছিলাম আমি, তাছাড়া এসবকিছুকে ভীষণ অর্থহীনও মনে হচ্ছিল আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কি, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কী নাএই সব আর কি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভাল লাগেনি। ...আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর দেখো, শুধু ‘বই-ল্যাখ্যা’ নয়, একসঙ্গে অনেক কিছুই করার আছে আমাদের, যে ভাষা নিয়ে আমরা খেলছি আজ তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে একটি রক্তাক্ত রাষ্ট্র, একথা সকলের যেন মনে থাকে ... আর শিল্পীদের কোন লোভ থাকতে নেই। 
এই হিরন্মময় উচ্চারণ শুনে এরকম এক এলেবেলে লেখা লিখতে এবার সত্যিই বড্ড লজ্জা হয়। অযুত লোভ এসে আমাকে নিশিদিন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে বলে আত্মগ্লানি অনুভব করি। খোকার গলায় অনু অথবা বটু ভাই ফিসফিস করে : বিদ্যাসাগর শেষজীবনে সভ্যসমাজ ছেড়ে আদিবাসীদের সঙ্গে গিয়েছিলেন, জগদীশচন্দ্র বসু শেষজীবনে কারও সঙ্গে কথা বলতেন না, চুপ করে থাকতেন, নজরুল তো চুপ করেই গেলেন। ... মনে হয়, মানুষ যখন কোনো বড় সত্যের দেখা পায় বা বড় প্রশ্নের উত্তর পায় তখন তার স্তব্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
বলতে কি, মহস্বী ব্যক্তিদের এই স্তব্ধতা অনুবাদের শাস্ত্র আমার খুব সামান্য-ই জানা থাকে। জীবনের সেই পরম সত্যটি, আমরা ভাবি, তা তিনি শেষমেষ খুঁজে পেয়েছিলেন? স্বল্প পরিচিত ছাত্র হওয়ায় তাঁকে কোনদিন আর সামনাসামনি জিজ্ঞাসা করা হয় না। অতি চেনা পাঠশালাটি ততদিনে বন্ধ ঘোষিত হওয়ায় আমরা চিরকালের ড্রপ-আউট ছাত্রে রূপান্তরিত হওয়ার চূড়ান্ত অপেক্ষায়। অনুর পাঠশালা থেকে স্বেচ্ছা অবসর নেয়া মাস্টার মশাইয়ের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে এবার আমরা পলাতক হই, দিকচিহ্নহীন হই, বিস্মৃত হই রক্তাক্ত রাষ্ট্রের অসুখ-বিসুখ, লোভী হই এবং সকল জীবনবিনাশী উন্নয়ন প্রকল্পের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পথ হাঁটতে শুরু করি। অভিমানে, ক্রোধে, বেদনায় অবশেষে ২০০৮’এর তীব্র এক বর্ষার রাতে, শুনতে পাইতিনি সকল পাঠচক্র সমাপ্ত করে, মৌনব্রত নিঃশেষ করে, একটি অশরীরী জীবনযাপনের জন্য ধাবিত হয়েছেন উর্ধ্বলোকে, যেখানে ধামরাইয়ের কাজল ভাবী নক্ষত্র, মেঘ এবং চাঁদের আলো ছড়িয়ে অলৌকিক অষ্টব্যাঞ্জন তৈরির বিশিষ্ট এক হেঁসেল ঘরের অধিপতি; অথবা ‘অশরীরী’ বিষয়টি ছিল নিছক একটি উপন্যাসের খেলাঘর, বলা যায়এক ধরনের মায়া, নীলদুপুর এবং হিম-ঝড়বৃষ্টি। হিম-ঝড়বৃষ্টিতে বন্ধ পাঠশালার দরজা-জানালায় শব্দ ওঠে লাগাতার। আর হঠাৎ-ই কেউ আঁধার ঘরে এই ভরসন্ধ্যায় মাস্টার মশাইয়ের কথা ভেবে অবশ গলায় ফুঁপিয়ে ওঠে।

[চন্দন আনোয়ার সম্পাদিত গল্পকথা (মাহমুদুল হক সংখ্যা), রাজশাহী, ২০১৪ থেকে মুদ্রিত


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ