bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

বাংলাদেশ হওয়ার পর বাংলা সাহিত্য আমাদের--মাহবুব মোর্শেদ


যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এখন ম্যাসেঞ্জার। ম্যাসেঞ্জারে হাই, হ্যালো চলতে থাকে! কবি, কথাসাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী—কেউ বাদ পড়েন না। হাই, হ্যালো ছাড়িয়ে চ্যাটিং গড়াচ্ছে বিভিন্ন চিন্তামূলক আলাপে। সম্প্রতি কথাসাহিত্যিক মেহেদী উল্লাহ তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে এমনই চিন্তামূলক চ্যাটিং আয়োজন--'হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার' (Half an hour chatting about culture) প্রকাশ করছেন। বলে রাখা ভালো, আমাদের বিগতকালের লেখক-বুদ্ধিজীবীগণের সংস্কৃতি বিষয়ক বহুবিধ ও বহুমাত্রিক চিন্তা তাঁদের রচিত গ্রন্থগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। তাঁদের সময়ের চিন্তার সাথে বর্তমান সময়ের লেখক-বুদ্ধিজীবীর চিন্তার তূলনামূলক এই পাঠ এক অতি বড় সুযোগ। আমরা মেহেদী উল্লাহ’র এমন উদ্যোগকে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ মনে করি। তাই এটির সংকলন ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। গতিপথ বাংলা ওয়েবজিনের আলাপ-সিরিজে প্রতি রবিবার মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার এর একটি করে পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে।

আলাপ সিরিজ : মেহেদী উল্লাহ’র হাফ এন আওয়ার চ্যাটিং এবাউট কালচার পর্ব-৭

মেহেদী উল্লাহ’র টাইমলাইন: বুধবার, ২০ মে ২০২০; রাত ১১ টা ৪৩ মিনিট


আজ থাকছেন গল্পকার ও ঔপন্যাসিক মাহবুব মোর্শেদ ভাই। সংস্কৃতি নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে—

মেহেদী উল্লাহ : বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব কেমন? অনেক কিছুই তো চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে?

মাহবুব মোর্শেদ : সংস্কৃতি বলতে যে জিনিশটা আছে তাতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব নাই বললেই চলে। অতীতে অনেক মহামারী হয়েছে পৃথিবীতে। বাংলাতেও। সেগুলোর কোনো প্রভাব তো সংস্কৃতিতে সেভাবে পড়েনি। ফলে করোনাভাইরাসের প্রভাবও পড়বে না।

মেউ : না, যেমন ধরেন, দুই ধরনের সত্য নির্মিত হচ্ছে, একপক্ষ বলছে সব ঠিক আছে, আরেকপক্ষ বলতে চাচ্ছে, ঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব? অনেক দিন ধরেই এ ধরনের চর্চা রয়েছে। এই মহামারিতে এই চর্চা পাল্টানো গেল কিনা?

মাহবুব মোর্শেদ : মহামারী তো কোনো মতাদর্শিক বিপ্লব না। এটা একটা রোগ। রোগ বা বিপদ মানুষকে একমত পোষণ করাতে পারে না।
তাছাড়া অব্যবস্থাপনা আছে কি নাই সেটা কোনো বিতর্কের বিষয় না। আপনি হাসপাতালে গেলেই বুঝবেন। ফলে এ নিয়ে একটা দার্শনিক আলাপ করা বাটপারী ছাড়া কিছু না।

মেউ : হ্যাঁ, কোনো কোনো ফটোগ্রাফার হাসপাতালে যাচ্ছেন, ছবি দিচ্ছেন মিডিয়ায়, আবার রোগী সংশ্লিষ্ট পোস্টও পাচ্ছি ফেসবুকে, রোগী নিজেও দিচ্ছে।
তারপর, আমরা তো আড্ডা প্রিয়, এখনো গ্রামে সামাজিক যুথবদ্ধতা বেশ, সেখানে হঠাৎ ঘরবন্দি হওয়াতে মানুষের আচার-অভ্যাস ও সম্পর্ক ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা?

মাহবুব মোর্শেদ : এগুলো আসলে মীথ। আমাদের আড্ডা কই? ঢাকা শহরে একটা বসার জায়গা আছে? কোথাও তিন ঘণ্টা বসে আপনি আড্ডা দিতে পারবেন? চা কফি শরবত খেতে পারবেন? আড্ডাপ্রিয় জাতি অথচ আড্ডার জায়গা নাই। এগুলো স্রেফ ভাওতাবাজি। রাস্তাঘাটে, ফুটপথে, বারান্দায় আড্ডা দিয়ে সেটাকে মিস করার মানে হয় না।

মেউ : ঠিক। আমি গ্রামের কথা বলছি, ভাই।

মাহবুব মোর্শেদ : গ্রামের লোকেরা আড্ডা দিলে দিক না দিলে নাই। আমাদের তাতে কী?

মেউ : এখন তো তারা ঘরে?
ধরুন, বাংলার ইতিহাসে গ্রামে বিবাহ থেমে থাকে নাই, এখন ত হচ্ছে না, এসব কি তাদের জন্য ধাক্কা?

মাহবুব মোর্শেদ : ওরা ওয়েট করুক। করোনা গেলে বিয়ে হবে। এখন অস্থিরতা বাড়লে ভিডিও চ্যাট করুক। একটু কষ্ট করতে হবে।

মেউ : হ্যাঁ, পুরো পৃথিবীতেই অপেক্ষা, তারাও পারবে নিশ্চই?
আপনি ঢাকার আড্ডার কথা বলছিলেন। ঢাকা শহরে বসার জন্য কি মানুষ আসলেই ব্যাকুল? নাকি তারা আসলে শপিং, খাওয়া দাওয়া করতে পারলেই বাঁচে? তারা সিনেমা দেখে না, বইও পড়ে না, কেউ কেউ অবশ্য ছাদে বাগান করতেছে—

মাহবুব মোর্শেদ : শপিং মানুষের মন প্রফুল্ল রাখে। সে যে বড় বাজারের একটা পার্ট এ অনুভূতি তৈরি হয় শপিংয়ের মাধ্যমে। পুঁজিতন্ত্রে সবচেয়ে বড় সামাজিকতা হলো শপিং। খাওয়াদাওয়াও তাই। আপনাকে ব্রান্ড আইটেম খেতে হবে। চেকইন দিতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে বৃহত্তর সমাজের অংশ হয় লোকে। সুখ তৈরি হয়। সিনেমা নাটক তো সবাই দেখে। তাতে তাদের সাহিত্যের চাহিদা পূরণ হয়। বইও পড়ে। একটু হয়তো কম। আপনি বইয়ের বিজনেসের সাথে জড়িত বলে লোকে বই কম পড়লে ব্যাজার হন। কিন্তু আমার যদি বই না পড়ে চলে আমি কেন বই পড়বো?
কেনই বা তিন ঘণ্টার জ্যাম ঠেলে সাহিত্য নিয়ে আড্ডা দিতো যাবো। আমরা যারা আড্ডা দিতে চাই তাদেরই তো জায়গা নাই।
কোথায় গিয়ে আপনি একটু নিরিবিলি শরবত খেতে পারবেন?

মেউ : জ্যামের মধ্যে বসে বসে তারা আসলে কি কি করে? আমি পাবলিক পরিবহনে তাদের কন্ডাকটরের সাথে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া করতে দেখেছি, এই দুই টাকার জন্য। আর জ্যাম না থাকলে ঝগড়ার পরিমাণও কম!

মাহবুব মোর্শেদ : যাত্রী বিনাবাক্য ব্যয়ে দুইটাকা দিয়ে দিলে আপনার ভাল লাগবে? বেশি ভাড়া সে আপোষে দেবে এটা আপনি চান? নাকি বাসওলা দুইটাকা কম নিলে আপনি খুশী হবেন?

মেউ : না, আমি চাই না। আমি চাই দূরত্ব হিসাবে ঠিক ভাড়া দিক। কিন্তু অনেক কিছুর সাথেই সে আপোষ করছে। অনেকে কম দিতে চান। এটা কি অন্য আপোষের অবদমন?

মাহবুব মোর্শেদ : অনেক কিছুর সাথে আপোষ করলেও কিছু জায়গায় কেন আপোষ না করে লোকে ত্যাড়ামি করে?

মেউ : মধ্যবিত্ত কি বাসের কন্ডাকটরকে তার চেয়ে নিচের কাঠামোর ভাবে? যেখানে ঝগড়া নিরাপদ?

মাহবুব মোর্শেদ : মূলত কন্ট্রাক্টর তার চেয়ে পাওয়ারফুল। কিন্তু যাত্রী মধ্যবিত্ত হোক কি নিম্মবিত্ত, তারা বাসে সবসময় সংখ্যায় বেশি। কিন্তু বাসে পরিবহনের গুণ্ডাপাণ্ডা থাকলে দেখবেন যাত্রীরা কথা বলে না। এগুলো এত সহজ শ্রেণীপ্রশ্ন না।

মেউ : আচ্ছা। আবার সেই কন্ডাকটর আর তার ড্রাইভার ভাইরা মিলে মাঝে বাস বন্ধ রাখল, রাস্তায় মানুষ মেরে দেয়! নাকি তারা রাখে নি, এটা ক্ষমতা কাঠামোরই চাপানো অচলাবস্থা ছিল?

মাহবুব মোর্শেদ : বাস মালিকরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। একটাকা দুইটাকা তারাই বেশি নেয়। শ্রমিকরা গরিবই থাকে। এটা বুঝতে হলে আপনাকে আরেকটু চোখ খোলা রাখতে হবে।

মেউ : কেমন?

মাহবুব মোর্শেদ : খবরের কাগজ একটু মন দিয়ে পড়তে হবে।

মেউ : আচ্ছা। খবরের কাগজ কী ঠিক সংবাদ দিতে পারছে? সেখানকার মালিক বাস মালিকের থেকে কোন সুবিধা কম চায়?

মাহবুব মোর্শেদ : আপনি তো তর্কে জিততে চাচ্ছেন।

মেউ : না ভাই। আমি মালিকদের বিষয়ে জানতে চাচ্ছি। মানে, সংবাদপত্রের মালিক শ্রেণিটি কেমন আলাদা?

মাহবুব মোর্শেদ : আপনার কাছে পর্যাপ্ত ইনফরমেশন নাই। শুধু তত্ত্ব দিয়ে আপনি বুঝতে পারবেন না। আপনাকে জানতে হবে। আপনি জরুরি ইনফরমেশন না জেনে তর্ক করলে হবে না। কিন্তু আপনাকে ইনফরমেশন জানতে বললে আপনি সংবাদপত্রের মালিক কেমন সে প্রশ্ন করতে পারেন না। আপনাকে আগে সংবাদপত্র পড়তে হবে। বাসের ব্যাপারটা সুরাহা করে তারপর আমরা সংবাদপত্র নিয়ে কথা বলতে পারি।

মেউ : আচ্ছা, বাসের ব্যাপারটা আপনার কাছে ক্লিয়ার হতে চাই, সংবাদপত্রের সঙ্গে এর যোগাযোগ কোথায়? আমি হয়ত মিস করেছি।

মাহবুব মোর্শেদ : হাহাহা। সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। মজা করেছি।

মেউ : এটা তো আমাদের পরিবহন সংস্কৃতি, যেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়িত। গণপরিবহন বলা হচ্ছে!

মাহবুব মোর্শেদ : তা তো বটেই। আর সব সংস্কৃতির মতো এটাও সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি। গণ জিম্মি। আপনি রাস্তায় বাস নামাতে পারবেন না। অনুমতি থাকলেও মাস্তানরা এসে আপনাকে উঠিয়ে দেবে। সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পেও বাস মালিকরাই সক্রিয়। আপনাকে তাদের পেটোয়া শ্রমিকরা উঠিয়ে দেবে। আপনি তাদের মার খেয়ে খুশী হবেন। কেননা শ্রমিক শ্রেণীর মার খাচ্ছেন। একটা মার্কসবাদী সুখ পাবেন।

মেউ : মাহবুব ভাই, জিম্মি সংস্কৃতি থেকে আমরা মুক্তি পাব কবে? সেই ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকেই তা চলছে, এখন নিজ দেশেই কি ঔপনিবেশিক অবস্থা কাটাচ্ছে জনগণ? নাকি নিজ দেশে নিজেরাই কখনো জিম্মি হচ্ছে, কখনো জিম্মি বানাচ্ছে—এটা একটা ইন্দুর-বিলাই খেলা?

মাহবুব মোর্শেদ : নিপীড়িতরা কখনও ক্ষমতা দখল করছে, নিপীড়ক কখনও ক্ষমতা দখল করছে? ইন্দুরবিলাই খেলাটা কেমন?

মেউ : ধরুন পালাক্রমে। যখন যার সুবিধা। বাদ দিন।

মাহবুব মোর্শেদ : কারা এরা? এরা কারা? এটা তো একই শ্রেণী। একই গোষ্ঠী। আপনাদের কিছু বুলি আওড়িয়ে ভাগ করে রেখে নিজেরা শাসন চালিয়ে যাচ্ছে একই গোষ্ঠী। শাসক শ্রেণী তো একটাই।
শেষ করা যায়।
কী বলেন?

মেউ : শেষের দিকে ভাই,
মাহবুব ভাই, আপনার লেখায় বা পোস্টেও পেয়েছি, এই যে কলকাতা থেকে যাঁরা এসে বাংলাদেশকেও তেমনই এক সংস্কৃতি দিয়ে ভাবতে চাইল, এতে তারা কতটা সফল?

মাহবুব মোর্শেদ : পুরোটাই সফল। একটা স্যাটেলাইট সংস্কৃতির মধ্যে আমাদের বাস। এখানে যে সাহিত্য রাজত্ব করছে, যে শিল্প চলছে সেটা কলকাতার। এদেশের সাহিত্য এখনও এখানে কিনারা করে উঠতে পারেনি।

মেউ : আমি যে বাংলাদেশের সাহিত্য বলে উঠি, সেটা তো তাইলে ভুল! আমি যদি বাংলাদেশের সাহিত্য সৃষ্টি করতে চাই এবং সেটা আজ থেকে, কি করা উচিত আমার?

মাহবুব মোর্শেদ : বাংলাদেশের সাহিত্য টার্মটা কলকাতারই তৈরি। আমাদের সাহিত্য বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের ভাগ আমরা ছাড়বো না। কলকাতার আধিপত্য ও নির্দেশনাও নেবো না।
বাংলাদেশের সাহিত্য হবে কেন? তোমারটা বাংলা সাহিত্য আর আমারটা বাংলাদেশের? তোমারটা তাহলে কলকাতার সাহিত্য হোক।

মেউ : বাংলাসাহিত্য যে অর্থে ছিল, তখন 'বাংলা' ছিল, এখন তো বাংলাদেশ, ফলে বাংলাদেশের সাহিত্য যে কেউ বলতে পারে, ঘরের মধ্য থেকেও। হ্যাঁ, আমি পশ্চিম বাংলার সাহিত্যই বলি, দেশভাগের পর থেকে—

মাহবুব মোর্শেদ : এটা বড় আলাপ। বাংলা কখনো ছিল না। বাংলাদেশ হওয়ার পর বাংলা সাহিত্য আমাদের। এটা আমরা দেখাশোনা করে রাখবো। কলকাতা চাইলেও পারবে না। আমরাই বাংলা সাহিত্যের জিম্মাদার। এটা আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব। ফলে, এই বড় জায়গাটা আমাদের বুঝতে হবে। কলকাতার মাতবরিটা মাথা থেকে ফেলে আমাদের বড় জায়গাটা রিক্লেইম করতে হবে।
আজকের মতো শেষ করি।

মেউ : জি ভাই, শেষ করি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় দেওয়ার জন্য।
মাহবুব মোর্শেদ : আপনাকেও। ভাল থাইকেন।

ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ

অন্যপ্রান্তে: মাহবুব মোর্শেদ কথাসাহিত্যিক ও কবি । ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭৭ সালে রংপুরে জন্ম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা শেষে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নেন। একসময় বিচিত্র বিষয় নিয়ে বাংলায় ব্লগে লিখতেন। বর্তমানে ফেসবুকেও চলমান ঘটনা নিয়ে নিয়মিত নোট ও পোস্ট দেন।   
তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ: ব্যাক্তিগত বসন্তদিন (২০০৬) ও প্রথম উপন্যাস: ফেস বাই ফেস (২০১০)। এছাড়া প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: দেহ (২০১১); উপন্যাস: তোমারে চিনি না আমি (২০১৮); নভেলা: অর্ধেক জাগ্রত রেখে (২০১৩); কবিতাবই: অরব বসন্ত (২০২০); কবিতা-ইবুক: বস্তু পৃথিবীর রহস্য (২০১০); সেলিম আল দীনের স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ: গুরু ও চণ্ডাল (২০১৩)।      

ᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬᕫᕬ

লেখক পরিচিতি:
মেহেদী উল্লাহ জন্ম:১৯৮৯ সাল
মেহেদী উল্লাহ বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক। জন্মস্থান নোয়াখালীর সুবর্ণচর, বেড়ে ওঠা চাঁদপুরের কচুয়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে বর্তমানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিরোধানের মুসাবিদা (২০১৪) তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। তিরোধানের মুসাবিদা গ্রন্থের পান্ডুলিপির জন্য তিনি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার-২০১৩ অর্জন করেন। প্রকাশিত অন্যান্য গল্পগ্রন্থ: রিসতা (২০১৫), ফারিয়া মুরগীর বাচ্চা গলা টিপে টিপে মারে (২০১৬), জ্বাজ্জলিমান জুদা (২০১৭), অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগ (২০১৯)। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: গোসলের পুকুরসমূহ (২০১৮)। প্রবন্ধ গ্রন্থসমূহ: ফোকলোরের প্রথম পাঠ (২০১৫), ফোকলোর তত্ত্বপ্রয়োগচরিত (২০২০), লোকছড়া: আখ্যানতত্ত্বের আলোকে (২০২০), নজরুল বিষয়ক সংকলন চর্চার ধরন (২০২০)।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ