bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

শফিক আশরাফের জানালা ꘡ আমাদের ভুটানযাত্রা ꘡ পর্ব-৯


আমাদের ভুটানযাত্রা [পর্ব-৯]

আমরা সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে হোটেল থেকে চেক আউট হয়ে লাগেজপত্র নিয়ে পারোর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। চমৎকার আকাবাঁকা রাস্তা। রাতের কোথাও কোথাও একচোট বৃষ্টি হয়ে গাছপালা, প্রকৃতি ও পরিবেশ এক ধরনের মোহময় স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে। ফ্লাশরেইন ভুটানের খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে ডিসেম্বরের এই শেষ সময়ে বৃষ্টিপাতের মাত্রা অনেকটা কম। পাহাড়ি নদীর পাড় ঘেঁষে রাস্তা। কোন কোন পাহাড় সবুজ আবার বাঁক ঘুরতেই চোখে পড়ছে একেবারে ন্যাড়া কোন পাহাড়। তবে পাহাড়ের বিশালতা অবাক হয়ে দেখার মতো। 
শুনেছি সমুদ্রের কাছে গিয়ে দাঁড়ালে সমুদ্রের বিশালতা দেখে মানুষের আত্মা বড় হয়! এখানে এইসব আকাশ ছোঁয়া পাহাড়ের দিকে তাকালে মানুষের আত্মা আকাশ সমান বিশাল হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা মানুষ নামক স্যাপিয়েন্সরা কোনদিনই সেই বিশালতার পরিচয় দেইনি। পাহাড় ও পাহাড় ঘেঁষা কোন কোন তৃণভূমির দিকে তাকিয়ে আমার কখনো খামোখাই মনে হচ্ছে, এখানে নিয়ান্ডারথাল কিংবা ডেনিসোভা গোত্রের কোনও শিশু এইসব উপত্যকায় একসময় খেলা করে বেড়িয়েছে। যারা অতীতে আমাদের মতো টিকে যাওয়া স্যাপিয়েন্সের হাতে নিষ্ঠুরভাবে নিহত হয়েছে। আমাদের মানুষদের ইতিহাস অনেকটা নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতার ইতিহাস। এখনো আমরা সাদা-কালো ভেদাভেদ করে একগোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করি। এই কিছুদিন আগেও সাদারা কালোদের মানুষের গোত্রভুক্তও মনে করতো না। হয়তো মনে করতো তারা হোমো রুডলফেনসিস গোত্রের, আমাদের স্যাপিয়েন্স গোত্রের নয়! 
এই বিভাজন শুধু রঙে না, ধর্ম, জাতি, ভাষা, এমনকি খাদ্যাভাসেও। এই যেমন এখন আমরা মনে করছি পৃথিবীজুড়ে করোনার ভয়াবহতার কারণ চীনের মানুষদের বাদুড় খাওয়ার অভ্যাস। সুতরাং যদি সম্ভব হতো তাহলে জোর করে তাদের বাদুড় খাওয়া বন্ধ করতাম কিংবা বাদুড় খাওয়ার অপরাধে তাদের কঠিন শাস্তি দিতাম! আমরা বিশ্বাস করছি বাদুড় খেয়ে তারা এই রোগ এনেছে অতএব তাদের ধ্বংসই এই সমস্যার সমাধান।। এখানেও আমাদের চিন্তাটা সহিংস! 

আমি বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, নিয়ান্ডারথাল-ডেনিসোভা বাচ্চাদের চিন্তা বাদ দিয়ে চারপাশের প্রকৃতি দেখায় মন দিলাম। ধীরে ধীরে আমরা পাহাড় ছেড়ে একটা উপত্যকায় নেমে যাচ্ছি। এভাবে নামতে নামতে আমরা একটি নদীর ধারে নেমে আসলাম। নদীর সমান্তরালে কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তারধারে একটু ফাঁকা জায়গায় সুপো গাড়ি ব্রেক কষলো। 
জানতে চাইলো, এখানে টুরিস্টরা নদীর ধারে সময় কাটায়, আমরা নামবো কি না? 
নদী আমাকে সব সময় টানে। সবাইকে নিয়ে আমি নেমে পড়লাম। 
রোপওয়েতে বুনন
গাড়িতে অনেক্ষণ বসে থেকে আমাদের হাত-পা আড়ষ্ট হয়ে আছে। গাড়ি থেকে নেমে রক্ত চলাচল বাড়ানোর জন্যে আমি হাত-পা ছুঁড়াছুঁড়ি করলাম। স্বনন আমাকে হাত-পা ছুঁড়তে দেখে একইরকম ভঙ্গি করে হাত-পা ছুঁড়াছুঁড়ি করলো। কিছু দূর সামনে হেঁটে গিয়ে দেখি নদীর ধারে বেশ মানুষের জটলা। নদীর ওপর একটা রোপওয়ে। একটা কিশোরী মতন মেয়ে রোপওয়ের চালক। একটা কাঠের তক্তা দু’পাশে দুটো চাকাওয়ালা হুক দিয়ে দড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তক্তার দুপাশে দু’পা দিয়ে, কোমরে বেল্ট বেঁধে দড়িতে ঝুলে ঝুলে একজনকে নদীর ওপাড়ে যায় গাইড মেয়েটি, ওপাড় থেকে আরেকজনকে নিয়ে ফেরৎ আসে। স্বনন, বুনন দু’জনেই রোপওয়েতে চড়ার জন্যে লাফাচ্ছে। আমি স্বননকে দেখিয়ে চালক মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে যেতে পারবে কি না? সে পারবে বলে জানালো। আমি প্রথমে বুননকে পাঠালাম। স্বননকে বুঝালাম ওপাড়ে গিয়ে যেন পানির ধারে না যায় কিংবা পাহাড়ে না ওঠে। বুননকে বলে দিলাম, ভাইকে ফেরৎ পাঠিয়ে ও-যেন ফিরে আসে। খরস্রোতা নদীর দিকে তাকালেই কেমন ভয় ভয় করে। বুনন রোপওয়েতে উঠে সাৎ সাৎ করে ওপাড়ে চলে গেল। 
আমরা এপাড়ে দাঁড়িয়ে ওকে দেখতে পাচ্ছি। এরপর স্বননকে পাঠালাম। ওর চঞ্চলতাকে আমাদের বড় ভয়। সারাক্ষণ খালি ছটফট ছটফট করে, এক মুহূর্ত কোথাও স্থির থাকে না। কিশোরী চালিকাটি স্বননকে ধরে যাত্রা শুরু করলো। নদীর মাঝে গিয়ে স্বনন নিচে থুতু ফেলে বুঝার চেষ্টা করলো কত উপরে আছে। আমরা দূর থেকে ওকে আতংক নিয়ে দেখছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবেই বাচ্চাদের রোপওয়ে ভ্রমণ শেষ হলো। আমরা নদীর কোলে বেশ খানিকটা সময় কাটালাম। এরপর কফি খেলাম, বাচ্চারা চিপস, কোল্ডড্রিংকস খেলো। এরপর আবার আমাদের যাত্রা শুরু হলো। 

এবার ড্রাইভার সুপো একটা বৌদ্ধমন্দিরের সামনে আমাদের গাড়ি দাঁড় করালো। আইরিন গাড়ি থেকে নেমে বললো, আমি মন্দির দেখতে ভেতরে যাবো না, তোমরা যাও।  বুননও ভেতরে যেতে রাজি হলো না। অগত্যা আমি স্বননকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করলাম। মন্দিরটা বেশ পুরনো। ভেতরের পরিবেশটা ছিমছাম ও স্নিগ্ধ। মন্দিরের আঙিনায় কয়েকটা ছোট ছোট চাইনিজ কমলা গাছে শত শত হলুদ কমলা ঝুলে আছে। স্বনন দৌঁড়ে গিয়ে লাফ মেরে কয়েকটা কমলা ছিঁড়ে নিয়ে আসলো। আমি লক্ষ্য করছিলাম কেউ নিষেধ করতে এগিয়ে আসে কি না, গেরুয়া সন্ন্যাসিগণ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ স্বননকে বাধা দিলো না। আমি স্বননের হাত থেকে একটা কমলা মুখে দিয়ে দেখি একদম গুড়ের মতো মিষ্টি। স্বননকে আর কমলা পাড়ার সুযোগ না দিয়ে ওকে নিয়ে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে বেশ কয়েকজন ভিনদেশি নারী-পুরুষ সঙ্গে একজন গাইড নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গাইড তাদের বৌদ্ধধর্মের আদ্যাপান্ত বুঝাচ্ছে। ভেতরে একজন বৌদ্ধ পণ্ডিত চোখ বন্ধ করে বসে বসে বুদ্ধের শ্লোক আওড়াচ্ছেন। বৌদ্ধ-সন্ন্যাসিদের দেখলেই আমার অতীশ দীপঙ্করের কথা মনে পড়ে যায়। মুন্সীগঞ্জে তাঁর পতিত ভিটেটা এখনো ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ হিসেবে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভেতরে ঝুলন্ত ঘণ্টায় ঢং ঢং শব্দ করে আমরা মন্দির থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলাম।

পারো শহরের নিকটে এসে সুপো আমাদের জিজ্ঞাসা করলো আমরা পারো এয়ারপোর্ট দেখতে থামবো কি না? আমি জিজ্ঞাসা করলাম:
- সেখানে দেখার কিছু কি আছে?
- অনেক টুরিস্ট তো দেখতে নামে।
- ঠিক আছে। গাড়ি থামিও, দেখবো।
পেছনে পারো বিমানবন্দর
একটা পাহাড়ের মাথায় আমাদের গাড়ি থামলো। অনেক নিচে পারো এয়ারপোর্ট। এয়ারপোর্টের দিকে তাকিয়ে আমি বিস্মিত হলাম। একটা উপত্যকা মতো জায়গায় এয়ারপোর্ট! চারদিকে বেশ বড় বড় পাহাড়। এখানে বিমান কীভাবে ওঠানামা করে সেটা ভেবেই বিস্ময়! ভারতের কলকাতা, দিল্লী, চণ্ডিগড়, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, শ্রীলংকার কলম্বো ইত্যাদি অনেকগুলো এয়ারপোর্টে বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। সেগুলো খোলামেলা, অনেক বড় রানওয়ে! কিন্ত এখানে রানওয়েতে বিমান দৌড়ানোর পর পাহাড়ের কারণে অনেকটা খাড়া উঠতে হবে বিমানকে-- খুব দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিমানচালক ছাড়া বোধহয় সেটা সম্ভব না! এখানে কোনও একটা বিমান উড্ডয়ন দেখার ইচ্ছে হলো কিন্তু কখন বিমান উড়বে সেটা জানা না থাকায় আমরা পারোর নিকটবর্তী ‘টাইগার নেস্ট’ বা বাঘের বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলাম।

টাইগারনেস্ট পাহাড়ের গোড়াতে অসংখ্য ঘোড়াওয়ালা ঘোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘোড়ার গায়ের গন্ধ, ঘোড়ার প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধ জায়গাটা কিছুটা অস্বস্তিকর করে রেখেছে। আমারদের দেখে ঘোড়াওয়ালারা ডাকাডাকি করছে ঘোড়ায় চড়ে টাইগার নেস্টে উঠার জন্যে। সেসব দেখে আইরিন বললো:
- আমি মরে গেলেও ওই ঘোড়ায় চড়ে টাইগার নেস্টের উপরে উঠবো না। আমি বললাম,
- চলো আমরা সামনে এগিয়ে যাই। 
সামনে এগিয়ে দেখি একটা চালা মতো জায়গায় ভুটানি নারীরা বিভিন্ন পণ্যের পসার সাজিয়ে বসে আছে। পুঁতির মালা, মাথার ক্লিপ, নকশি হাতপাখা, ব্রেসলেট, চাবির রিং, শোপিস, ছোরা ইত্যাদি নানান জিনিসপত্র। আইরিন ওইসব দেখে উৎসাহিত হয়ে পুরোদমে দামদর করতে লেগে গেল। দামদরেও যে বাঙালিদের আনন্দ এইটা অন্য দেশের মানুষ বুঝতেও চায় না! একবার তামিলনাড়ুতে কোন একটা জিনিসের দাম করতে গিয়ে দোকানদারকে রুষ্ঠ করেছিলাম। আমি নিজে দামদর করতে পারি না বলে সবসময় দামদরের জায়গা থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকি। আইরিন তো কখনো কখনো বলে, দোকানদার তোমাকে দেখেই বুঝতে পারে একে ঠকানো যাবে, তোমাকে দেখলেই তাদের চোখ চকচক করে উঠে, তাই তুমি কিছু কিনতে গেলেই তোমাকে ঠকায়। আমি তখন হাসতে হাসতে বলি, সবাই জিতলে কেমনে হবে! কাউকে একজনকে তো ঠকতে হবে। ব্যবসার নিয়মই হলো অন্যকে ঠকিয়ে লাভ করা। কাজেই আমি ঠকি আর তুমি জেত, ব্যাস, ব্যালান্স হয়ে গেল কেমন।
আমি খানিকটা উচ্চস্বরে আইরিনকে ডেকে, নারী দোকানদারদের দিকে তাকালাম, বোঝার চেষ্টা করলাম তাদের চোখে চকচকে কোন ব্যাপার আছে কি না! কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না। আইরিন কাছে এসে বললো:
- ডাকো কেন?
- আমি স্বননকে নিয়ে যতদূর পারা যায় উপরে উঠি। তুমি এখানে কেনাকাটা শেষ করে বুননকে নিয়ে পাহাড়ের ওই গোড়ায় অপেক্ষা করো।
- ঠিক আছে যাও, বলে আবার উৎসাহিত হয়ে এটাওটা দাম-দরে লেগে গেল।

আমি স্বননকে নিয়ে টাইগার নেস্ট পাহাড়ের দিকে ওঠা শুরু করলাম। এবড়োথেবড়ো রাস্তা। পাথরের খাঁজে খাঁজে পা রেখে উপরে উঠতে হয়। অনেকটা ওঠার পরে আমার হাফ ধরে গেল। স্বনন বললো, সে আর পারবে না! আমি স্বননকে নিয়ে একটা পাথরের উপর বসে পড়লাম। বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে চারপাশের লতাগুল্ম দেখছি। বেশিরভাগ অপরিচিত।
টাইগার নেস্টের পাদদেশে
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শরতে প্রচুর ভাট ফুল ফোটে, এছাড়াও এক ধরনের ফক্সটেইলে ছেয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ঘাসফুলের মাঝে বসে ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে বসে বসে লাইক গুণে। আমি মনে মনে আমার চেতনার ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘাসফুল, ভাটফুলে খোঁজ করছিলাম! কিন্তু এই বিদেশবিভূঁইয়ে, কোন সুদূর ভুটানের টাইগার নেস্টে সেই ফুল কোথায় পাবো! যা দেখি সবই অচেনা লাগে। আমরা খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আরো উপরে উঠলাম। অনেককে হাঁপাতে হাঁপাতে নামতে দেখছি। আমাদের পাশ দিয়ে অনেকে ঘোড়া নিয়ে উপরে উঠছে। মনে হচ্ছে আমাদের ক্লান্তিকর যাত্রা আর ফুরাবে না! আমাদের মতো সমতলে বেড়ে উঠা মানুষদের জন্যে এ সত্যি কষ্টকর যাত্রা। স্বননকে বললাম:
- আর উঠে কাজ নেই, চল নেমে যাই। স্বনন সঙ্গে সঙ্গে বললো, 
- আমাকে ঘাড়ে নিয়ে নামাও।
- ঘাড়ে নিয়ে নামতে গেলে দুজনেই গড়িয়ে পড়ে যাবো। বাঁচতে চাইলে হেঁটে নামতে হবে। 
কথা শুনেই স্বনন দৌঁড়ে নামতে শুরু করলো। আমি পেছন থেকে চেঁচাচ্ছি, আস্তে বাবা, পড়ে যাবে কিন্তু...কে শুনে কার কথা, সে নেমেই চলেছে। আমি ওর মতো দৌঁড়ে নামতে পারছি না। 

একসময় একটা বাঁকঘুরে স্বনন আমার চোখের আড়াল হয়ে গেল।

[চলবে]

শফিক আশরাফ (জন্ম: ৬ আগস্ট ১৯৭১)
শফিক আশরাফ গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। জন্মস্থান টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার অন্তর্ভুক্ত সিঙ্গাইর গ্রামে। বর্তমানে রংপুরে বসবাস করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন লিটলম্যাগে লেখালেখির শুরু। ২০০০ সালে তিনি ও বন্ধু কবি শামীম নওরোজ এবং ফারুক আকন্দ মিলে অন্যতম ছোটকাগজ ‘চিহ্ন’ প্রথম বের করেন। পরবর্তী সময়ে ‘চিহ্ন’ সম্পাদক এবং আরো পরে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শিমুল মাহমুদ সম্পাদিত ছোটকাগজ ‘কারুজ’ এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ছোটকাগজ অন্বীক্ষা, লোকপত্র, মাটি, প্রকৃতি -তে তিনি নিয়মিত লিখেছেন।

তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘নহর আলীর মা’ (১৯৯৯)। দীর্ঘ সময়ে তিনি বেশকিছু গল্প লিখেছেন।চন্দন আনোয়ার সম্পাদিত গল্প পঞ্চাশৎ, রাশেদ রহমান সম্পাদিত এই সময়ের নির্বাচিত ছোটগল্প প্রভৃতি সংকলনে তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁতি সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পাউঠি’র খসড়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ ‘পাগল অথবা প্রত্যাশিত মৃত্যু’।   
প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: বাংলাদেশের গ্রাম ভিত্তিক ছোটগল্পে জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি ১৯৪৭-২০০০ (প্রকাশকাল ২০১৩); প্রবন্ধ-গ্রন্থ: সিনেমা ও সাহিত্য প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ