bdtime

বঙ্গাব্দ ꘡

শফিক আশরাফের জানালা ꘡ আমাদের ভুটানযাত্রা ꘡ পর্ব-৮






আমাদের ভুটানযাত্রা [পর্ব-৮]


এই নদীর কুলকুল ধ্বনির সঙ্গে, পাখিদের সঙ্গে, নীলাকাশের প্রতিবিম্বের সঙ্গে ও আকাশছোঁয়া পাহাড়ের সঙ্গে দুপুর পর্যন্ত কাটালাম। এবার আমাদের গন্তব্য পুনাখা জং (Dzong)। চমৎকার নদীর বাতাসে সময় কাটিয়ে, দুপুর পার হয়ে যাওয়াতে আমরা ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েছিলাম। সুপোকে বললাম, রাস্তার ধারে কোন একটা রেস্টুরেন্টে গাড়ি থামাতে। সুপো আমাদের জিজ্ঞাসা করলো, কোন ধরনের খাবার খেতে আমরা আগ্রহী। আমরা পিওর ভুটানি খাবার প্রতি আগ্রহের কথা জানালাম। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নিরিবিলি, পরিচ্ছন্ন পরিবেশের একটা রেস্টুরেন্টে গাড়ি দাঁড় করালো সুপো। আমরা খাবার হোটেলে প্রবেশ করে সুপোকে বললাম:

- আমাদের খাবার তুমি অর্ডার করো, তোমরা যে খাবারটা নিয়মিত খাও সেটা। আর এখন তুমি আমাদের অতিথি, তোমার খাবার বিলটা আমি দেব।
আমার কথায় সুপো খুশি হয়ে খাবার অর্ডার করতে গেল। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে রেস্টুরেন্টটা দেখছি।
একপাশে কনফেকশনারি কর্নার। সেখানে চিপস, চকলেট, আইক্রিম, জুস সহ বিভিন্ন মদের বোতল সাজিয়ে রেখেছে। এক কোণায় ধবধবে সাদা একটা ছোট কুকুর বাঁধা। আমাদের পাশের টেবিলে একদল নেপালি ছেলে-মেয়ে বিয়ার নিয়ে বসেছে। এই রেস্টুরেন্টটা সম্ভবত স্বামী, স্ত্রী দুজনে মিলে চালায়। ছোট একটা বাচ্চা দোলনা-বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। দোকানদারির পাশাপাশি মা একটু পরপর এসে বাচ্চাকে দেখে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি স্বামী রান্না-বান্না করছে আর স্ত্রী খাবার সার্ভ করছে, কখনো কনফেকশনারি সামগ্রী বিক্রয় করছে, কখনো বিল গ্রহণ করছে। স্ত্রী’র পরনে জিন্স, টি-শার্ট। মধ্য বয়স্ক কিন্তু স্বাস্থ্যবান আঁটোসাঁটো নারী। রেষ্টুরেন্টের জানালা দিয়ে পাহাড়ের খাদ দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে আমাকে যেটা আকর্ষণ করছে সেটা হলো এদের পরিচ্ছন্ন রূপ। মানুষগুলো পরিচ্ছন্ন, প্রকৃতি পরিচ্ছন্ন এবং তারা নিজেদের চারপাশটা পরিচ্ছন্ন করে  রেখেছে। আমাদের মুসলমানদের ধর্মে পরিচ্ছন্নতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেটাকে আমরা মুসলমানরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি বলে মনে হয় না! আমি দিল্লিতে গিয়ে দেখেছি, সমগ্র দিল্লি শহর মোটামোটি পরিচ্ছন্ন কিন্তু যখন নিজামুদ্দিন আওলিয়ার মাজার দেখতে মুসলমান এলাকায় প্রবেশ করলাম তখন চারপাশের নোংরা পরিবেশ আমাদের কাছে হতাশজনক মনে হয়েছিল। রাস্তায় গরুর হাড্ডি পড়ে আছে, কুকুর, বিড়াল সেগুলো নিয়ে কামড়াকামড়ি করছে! কোথাও মাংসের কাবাব, চপের ধোঁয়ায় সংকীর্ণ রাস্তা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। ফকির-মিসকিন টুপি মাথায় রাস্তায় বসে ভিক্ষা করছে। এখানে সেখানে নোংরা, পশু-পাখির মল, উচ্ছিষ্ট খাদ্য পড়ে আছে। দৃশটা নিঃসন্দেহে অরুচিকর। দিল্লির কথা বলে লাভ কি! দেশে আমরা নিজেরাও আমাদের চারপাশটাও অপরিচ্ছন্ন করে রাখি।
এসব ভাবতে ভাবতেই আমাদের খাবার চলে আসলো। লাল চালের ভাত কিন্তু স্টিকি। আমাদের ঘরে-রান্নার মতো একবাটি ডাল, চারকোনা করে কাটা বোনলেস বিফ অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে এনেছে, সঙ্গে একটা মিক্স সালাদ। খাবারটা আমার কাছে লোভনীয় মনে হলো। ঠাণ্ডা কোক অর্ডার করলাম। বাচ্চাদের নিয়ে তৃপ্তি করে ভুটানি খাবার খেলাম। ভাতটা অতো আঠালো না হলেও দেশের খাবারের মতোই লাগতো। তবে বিফের স্বাদটা আলাদা। আমরা এরকম খাবারে অভ্যস্ত না। আমি, বুনন, স্বনন মজা করে খেলাম কিন্তু আইরিন বিফের আকার-আকৃতি দেখে মুখ বাঁকালো। খাবার শেষে গাড়িতে যেতে যেতে সুপোকে জিজ্ঞাসা করলাম:
- তোমরা কি বাড়িতেও নিয়মিত ডাল-ভাত খাও? তিনি উত্তর দিলেন,
- হ্যাঁ, এটাই বেশিরভাগ ভুটানিদের নিয়মিত খাবার। আমি মজা করে বললাম,
- তোমরাও বাঙালিদের মতো ভাতখেকো তাহলে! কিন্তু ভুঁড়িওয়ালা ভুটানি একজনও চোখে পড়ে নাই যে! যদিও ভুঁড়িওয়ালা কথাটার ইংরেজি বা হিন্দি শব্দ কোনটাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না,- বেলি, অ্যাবডোমিনাস কোনটা যে হবে কে জানে! আমি কথাটাতে ভুঁড়িওয়ালাই বললাম। সুপো আমার কথা না বুঝেই হাসলো। আর আমি খাঁড়া পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম, এর কোন একটা বেয়ে দিনে একবার উঠলেও পেটের ভুঁড়ি বুকের সমান হয়ে যাওয়ার কথা, আর পাহাড় বেয়ে ভুটানিরা নিয়মিত উঠানামা করে তাই তাদের কোন ভুঁড়ি নেই!

আমরা পুনাখা জংয়ের সামনে গাড়ি থেকে নামলাম। ভুটানে এরকম জং আরো আছে। এই জং বিষয়টা অল্প কথায় যদি আমরা বলি তাহলে সেটা এরকম:

পুনাখার এই জং-টা পুংতাং ডিছেন ফোটরাং জং হিসেবেও পরিচিত যার অর্থ পরম সুখময় প্রাসাদ। আসলে এইটি পুনাখা  শহরের একটি প্রাচীন প্রাসাদ। প্রাসাদটি ১৬৩৭-৩৮ সালে যাবদ্রারং রিনপোছে দ্বারা নির্মিত হয়েছিল যার স্থপতি ছিলেন নাগাওয়াং নামগিয়াল। এটি জং স্থাপত্যশিল্পের দ্বিতীয় পুরাতনতম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাসাদ এবং তাদের নির্মিত রাজকীয় প্রাসাদগুলোর অন্যতম একটি। জং এর এই প্রাসাদে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মের কাগ্যু গোত্রের দক্ষিণ দ্রুকপা বংশীয়সহ রাংজুং কাসারপানি বংশীয় সাধকদের দেহাবশেষ রয়েছে। এটাকে ভুটানের ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।
ছবি: পুনাখা ডিজং, ছবিসূত্র: By sprklg - originally posted to Flickr as Old Capital, CC BY-SA 2.0

১৯০৭ সালে, ভুটানের প্রথম রাজা হিসেবে উগয়েন ওয়াংচুক এর অভিষেক পুনাখা জং-এ হয়। তিন বছর পরে, পুনাখায় একটি চুক্তি হয় যার দ্বারা ব্রিটিশ ভুটানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করায় সম্মতি জানায় এবং ভুটান ব্রিটেনকে তার পররাষ্ট্র বিষয়ক নির্দেশ করার অনুমতি দেয়।
১৯৮৭ সালে জংটি আংশিকভাবে অগ্নি দ্বারা ধ্বংস হয়।
পুনাখা জং-এর অবস্থান ফো এবং মো নদীর মোহনায়। এই কারণে হিমবাহ হ্রদ থেকে ফ্ল্যাশ ফ্লাডের (আকস্মিক বন্যার) দ্বারা ওখানে আঘাত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী আকস্মিক বন্যা ১৯৫৭, ১৯৬০ এবং ১৯৯৪ সালে পুনাখা জংকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সম্প্রতি নদীখাত গভীর করে এবং চারটি বৃহৎ বাষ্প হাতা ব্যবহারের দ্বারা বাঁধ উত্থাপন করে জংকে রক্ষা করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে বন্যা হলে জংএর ক্ষয়ক্ষতি না হয়।

জংয়ের আভিজাত্য আমাদের মুগ্ধ করলো। সবচেয়ে ভালো লাগলো এর পরিবেশ। ঐ দূরে পাহাড়ের হাতছানি, ফো ও মো নদীর স্বচ্ছ পানির প্রবাহ এমন এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করেছে মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়।
আমরা জং পরিদর্শন শেষে পুনাখার ঝুলন্ত ব্রিজের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।  ফো চু নদীর উপর পুনাখা সাসপেনশন সেতুর দৈর্ঘ ৩৫০ মিটার।
সেতুর খানিকটা দূরে আমাদের গাড়ি দাঁড়ালো। ছোট্ট একটা টিলা পার হয়ে ওপারে সেতু। আমি নেমে টিলার গায়ে জন্মানো লতাগুল্ম দেখছি, ভাবছি এধরনের লতাগুল্ম আমাদের দেশে আছে কি না! স্বনন একটা প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে একটা ঝোঁপের মধ্যে ঢুকে গেল। ভুটানের বেশির ভাগ গাছই একধরনের জংলিগাছ। তবে চারদিকে প্রচুর পরিমাণে হিমালয়ান সাইপ্রাস গাছ চোখে পড়ে। এই হিমালয়ান সাইপ্রাস সম্ভবত ভুটানের জাতীয় গাছ।
প্রখরসূর্য তাপের ভেতর দিয়ে যখন সেতুর মাথাটায় এসে দাঁড়ালাম তখন নদী থেকে উঠে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের পরশ আমাদের গায়ের রোমকূপগুলোকে নাড়িয়ে দিলো। আমরা শরীর ও মন দিয়ে কিছুক্ষণ শুধু বাতাস অনুভব করলাম। একটা লোহার সেতুও যে দেখার মতো কিছু হয়, সেখানে যে এত সৌন্দর্য আছে, এই সেতু না দেখলে কোনদিনও সেটা বুঝতে পারতাম না। মনে হয় সেতুর দু’মাথা দু টুকরো মেঘের মধ্যে আটকানো আছে আর নিচে বয়ে চলেছে বরফগলা খরস্রোতা নদী। আমি তাকিয়ে দেখি লম্বা ও সরল-সোজা  সেতুটি বেশ বড়।
পুনাখার ঝুলন্ত ব্রিজে বুনন
নিচে বয়ে চলা নদীটি অনেক নিচে। ঠিক মেঘের উপর বসে নিচে তাকালে যেমন মনে হবে সেতুতে দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়ে তেমনটিই মনে হচ্ছে। বুনন ভয়ে ভয়ে সেতুর উপর দিয়ে সামনে এগুচ্ছে আর স্বনন দৌঁড়ে সেতুর মাঝামাঝি চলে গেছে। পুরো সেতুটি ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় মানুষের ভারি পদচারণায় খানিকটা দুলছে। সেতুর রেলিং বেশ শক্তপোক্ত হওয়ায় সেদিকে তাকিয়ে ভয় কিছুটা কম লাগে। স্বনন দৌঁড়ে ফিরে এসে বুননের ভয় ভয় মুখ দেখে ওকে একটা ধাক্কা মেরে আবার দৌঁড়ে ফিরে গেল। বুনন ভয়ের চোটে ‘মাগো’ বলে সেতুর উপর বসে চিৎকার করা শুরু করেছে। আমি দ্রুত বুননের কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। ততক্ষণে বুনন রাগে ফোঁসফোঁস করে স্বননকে ডাকছে, বলছে:
- কাছে আয়, তোকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেবো।
সেটা শুনে স্বনন দাঁত বের করে হাসছে। আমি বুননকে শান্তনা দিয়ে বললাম,
- আমার সঙ্গে, আমার হাত ধরে হাঁট, আর ছোট্ট দুষ্টু ভাইটাকে মাফ করে দে। সামনে পারিবারিক মিটিংয়ে ওর কঠিন বিচার হবে। ওর ধাক্কা দেওয়া বের করবো।
পারিবারিক মিটিংয়ের কথা শুনে বুনন কিছুটা শান্ত হলো। আমরা আমাদের পরিবারে একটা রাষ্ট্র কাঠামো ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছি। সেখানে স্বনন স্বরাষ্ট্র ও শৃংখলা মন্ত্রী। কারণ পরিবারে যত সন্ত্রাস ও বিশৃংখলা তৈরিতে স্বনন বেশি ভূমিকা রাখে। ওকে ওই দায়িত্ব দেওয়াতে কিছুটা শৃংখলা ফিরেছে। বুনন পরিবেশ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী। বাসা অগোছালো রাখা, যেখানে সেখানে কাপড়চোপড় ফেলে রাখার কাজে বুনন ওস্তাদ। ওকে এই দায়িত্ব দেওয়াতে বাসার পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ অনেকটা ফিরেছে। আইরিন বাসার কার্যনির্বাহী প্রধান আর আমি আইন, বিচার, শৃংখলার সমন্বয় সাধন করি। এছাড়া বাসায় রান্নাবান্না থেকে শুরু করে বাচ্চাদের পড়াশোনা সহ নানান কাজে আইরিনের পরামর্শ অনুযায়ী আমি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখি। আমাদের পারিবারিক মিটিংয়ে সবার মতামত যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হয় ও সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেখানে কখনো প্রয়োজনে ছোটখাট শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যেমন এক সপ্তাহের জন্যে স্বননের টিভি দেখা বন্ধ কিংবা আগামী তিনদিন মোবাইলে কোন গেম খেলা হবে না ইত্যাদি। কিন্তু এই ছোটখাট শাস্তি বুনন, স্বননের জন্যে অনেক কঠিন। কাজেই পারিবারিক মিটিংয়ের কথা শুনে বুনন শান্ত হলো।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে সেতুর ওপারে চলে আসলাম। ওপারে একটা ছোট টি-স্টল। অনেক নিচের নদীটি দেখতে দেখতে আইরিন আর আমি দু’কাপ চা পান করলাম। পাথুরে নদীটি অবিরাম বয়ে চলেছে। নদীর ধারে বাঁধা একটা রাফ্ট দেখতে দে’শলাইয়ের বাক্সের মতো লাগছে। নদীর ধারে বিছিয়ে পড়ে থাকা পাথরগুলোতে সূর্যের আলো কেমন পিছলে যাচ্ছে। এখানকার আকাশ যেহেতেু বেশি নীল সেহেতু নদীর পানি সেই নীলকে বুকে ধারণ করে নীলাভ হয়ে থাকে।

আমরা আমাদের বুকে করে পুনাখার নীল, দোচুলা পাসের ঠাণ্ডা নিয়ে ঐদিন থিম্পু ফেরৎ আসলাম। পরেরদিন আমাদের যাত্রা ভুটানের চমৎকার একটা শহর পারোর উদ্দেশ্যে।


[চলবে]

শফিক আশরাফ (জন্ম: ৬ আগস্ট ১৯৭১)
শফিক আশরাফ গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। জন্মস্থান টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার অন্তর্ভুক্ত সিঙ্গাইর গ্রামে। বর্তমানে রংপুরে বসবাস করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন লিটলম্যাগে লেখালেখির শুরু। ২০০০ সালে তিনি ও বন্ধু কবি শামীম নওরোজ এবং ফারুক আকন্দ মিলে অন্যতম ছোটকাগজ ‘চিহ্ন’ প্রথম বের করেন। পরবর্তী সময়ে ‘চিহ্ন’ সম্পাদক এবং আরো পরে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শিমুল মাহমুদ সম্পাদিত ছোটকাগজ ‘কারুজ’ এর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন। ছোটকাগজ অন্বীক্ষা, লোকপত্র, মাটি, প্রকৃতি -তে তিনি নিয়মিত লিখেছেন।

তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘নহর আলীর মা’ (১৯৯৯)। দীর্ঘ সময়ে তিনি বেশকিছু গল্প লিখেছেন।চন্দন আনোয়ার সম্পাদিত গল্প পঞ্চাশৎ, রাশেদ রহমান সম্পাদিত এই সময়ের নির্বাচিত ছোটগল্প প্রভৃতি সংকলনে তাঁর গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁতি সম্প্রদায়কে নিয়ে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পাউঠি’র খসড়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ ‘পাগল অথবা প্রত্যাশিত মৃত্যু’।   
প্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থ: বাংলাদেশের গ্রাম ভিত্তিক ছোটগল্পে জীবন, সমাজ ও সংস্কৃতি ১৯৪৭-২০০০ (প্রকাশকাল ২০১৩); প্রবন্ধ-গ্রন্থ: সিনেমা ও সাহিত্য প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০২০)।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ